চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো.রহুল আমিন মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এই আদেশ দিয়েছেন।
ছয় মামলার মধ্যে সহকারী লোকোমাস্টার, সহকারী গুডস চেকার এবং আদালতে রেলওয়ের সহকারী পরিদর্শক পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তিনজনের কাউকে জামিন দেননি আদালত।
ট্রেন নম্বর চেকার, টিকেট ইস্যুয়ার এবং ট্রেন চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় দুই সাবেক কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, মোট ছয়টি মামলার জামিন শুনানি হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুলাই পাঁচ মামলায় মৃধাসহ তিনজনকে জামিন দিয়েছিলেন আদালত। তবে নির্ধারিত সময়ে জামিননামা দাখিল না হওয়ায় মৃধার জামিন বাতিল করেছেন আদালত। অপর দুই আসামির জামিন বহাল আছে।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে টাকার বস্তাসহ আটক হন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুক। এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
দুদক তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধারও সম্পৃক্ততা পায়। রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইউসুফ আলী মৃধাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৩টি দুর্নীতির মামলা করে দুদক।
২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেই থেকে কারাগারে আছেন মৃধা। বাকি দুজন ২০১২ সালে গ্রেফতার হন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ১৬ আগস্ট মৃধাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ফুয়েল চেকার ও সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ তিনজনকে দুই বছর করে চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি