ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্নীতির ছয় মামলায় মৃধার জামিন নামঞ্জুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
দুর্নীতির ছয় মামলায় মৃধার জামিন নামঞ্জুর

চট্টগ্রাম: ছয়টি দুর্নীতির মামলায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।  তবে এর মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন মৃধার সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া দুই সাবেক কর্মকর্তা।  এরা হলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া এবং প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো.রহুল আমিন মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এই আদেশ দিয়েছেন।

ছয় মামলার মধ্যে সহকারী লোকোমাস্টার, সহকারী গুডস চেকার এবং আদালতে রেলওয়ের সহকারী পরিদর্শক পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তিনজনের কাউকে জামিন দেননি আদালত।

ট্রেন নম্বর চেকার, টিকেট ইস্যুয়ার এবং ট্রেন চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় দুই সাবেক কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন।    

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, মোট ছয়টি মামলার জামিন শুনানি হয়েছে।

  সব মামলায় মৃধার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।   তিনটিতে দুজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।  

এর আগে গত ২০ জুলাই পাঁচ মামলায় মৃধাসহ তিনজনকে জামিন দিয়েছিলেন আদালত। তবে নির্ধারিত সময়ে জামিননামা দাখিল না হওয়ায় মৃধার জামিন বাতিল করেছেন আদালত।  অপর দুই আসামির জামিন বহাল আছে।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে টাকার বস্তাসহ আটক হন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুক।   এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

দুদক তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধারও সম্পৃক্ততা পায়।   রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইউসুফ আলী মৃধাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৩টি দুর্নীতির মামলা করে দুদক।

২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা।  পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।  সেই থেকে কারাগারে আছেন মৃধা।   বাকি দুজন ২০১২ সালে গ্রেফতার হন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ১৬ আগস্ট মৃধাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।   আর চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ফুয়েল চেকার ও সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ তিনজনকে দুই বছর করে চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭ 

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।