শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে সেতুর দুই পাশে বেশ কিছু পণ্যবাহী বোট আটকা পড়লে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বকশিরহাট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক, সাবেক কাউন্সিলর ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (কেটিআইএ) সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন প্রমুখ।
তারা সেখান থেকে প্রথমে মেয়র মহোদয়ের বাসভবনে এবং পরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেতুর নির্মাণকাজ চলাকালে এক মাস বোট চলাচল বন্ধ না রেখে জোয়ারের সময় খোলা রাখার অনুরোধ জানান।
মেয়র সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান তাদের।
এদিকে কেটিআইএর সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সৈয়দ ছগীর আহমদ ও কেটিআইএর সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, একদিকে চাক্তাই খালের নাব্যতা সংকটের কারণে নৌ চলাচলের স্বাভাবিকতা হারিয়েছে, তার ওপর আমবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার সময় কয়েক বছর আগে মেরিনার্স সড়কের জন্য নির্মিত সেতুর গার্ডারের জন্যও নৌযান চলাচল করতে পারছে না। জোয়ারের উচ্চতা মেপে প্রতিনিয়ত শত শত নৌযান চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আসাদগঞ্জের বাণিজ্যিক পণ্যসামগ্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনা-নেওয়া করে। এ অবস্থায় ২০ আগস্ট পর্যন্ত চাক্তাই খালে বোট চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নৌপরিবহনের সাথে জড়িত সব নৌযান মালিক, কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে মাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ স্বাভাবিক জোয়ারে নৌযান চলাচল করে ঠিক ওই সময় চলাচলের জন্য উম্মুক্ত রাখলে সেতু নির্মাণকাজে কোনো ব্যাঘাত বা সমস্যা হবে না বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
তারা অবিলম্বে চাক্তাই খালে নৌ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এআর/টিসি