বুধবার (১৯ জুলাই) নগরীর সার্কিট হাউসে এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সমাবেশ। পরে একটি শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক এম আই গুলদার।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মমিনুল হক, মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবল দাশ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আমিনুল হক সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব অপরিসিম। সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথাযথ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। অভ্যান্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক এম আই গুলদার মাছ চাষিদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নিরাপদ মাছের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরকে কাজ করতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফিল্ড ফ্যাক্টরি যাতে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত মৎস্য খাদ্য তৈরি করে-সে বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরকে দৃষ্টি রাখতে বলেন।
আলোচনা সভায় মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী, হ্যাচারি মালিক, মৎম্য রপ্তানিকারক, এনজিও কর্মী, বিভিন্ন ফিশিং ট্রলারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব উন্নয়নের সদস্য, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির শিক্ষকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তাদের নিয়ে অতিথিরা শোভাযাত্রা বের করেন। এরপর সাড়ে ১১টারদিকে অতিথিরা নগরীর আসকারদিঘীতে রুই জাতীয় মাছের পোণা অবমুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
টিএইচ/টিসি