ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কে কে আসেনি নাম লিখ, ক্যাবিনেটে চিঠি পাঠাবো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
‘কে কে আসেনি নাম লিখ, ক্যাবিনেটে চিঠি পাঠাবো’ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি না থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম: গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি, আবার কখনও প্রধান কর্মকর্তা না এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এমন অধীনস্ত কাউকে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির জুলাই মাসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত থাকতে চিঠি পাঠানো হলেও বেশ কিছু সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন না।

পাশাপাশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার পরিবর্তে পাঠিয়ে দেন তার অধঃস্তন কর্মকর্তাকে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর পরিবর্তে সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের বিবরণ চাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কেও তাকে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি সবকিছুর উত্তর ভালোভাবে দিতে পারেননি।

এসময় জেলা প্রশাসক তাকে প্রশ্ন করেন, আপনার নির্বাহী প্রকৌশলী কোথায়? সেই প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা অন্য একটি অনুষ্ঠান থাকায় তিনি আসতে পারেন নি বলে জানান।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এটা আগে থেকেই নির্ধারিত হওয়া সভা। এটাতে আসতে তাকে আগে থেকেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি আসলেন না। পূর্ব নির্ধারিত সভার দিন আর কোনো অনুষ্ঠানই তিনি রাখতে পারেন না। ’

একইভাবে সভাতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন না। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তারা না এসে সভায় তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন ভিন্ন কেউ।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক সভায় বলেন, ‘এই সভাকে তারা (যারা আসেননি) অবজ্ঞা করেছেন। কারণ এখানে জনপ্রতিনিধরা আসেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আসেন তাদের কাছে জবাবদিহীতা করতে হবে কাজ নিয়ে। এজন্যই তারা এসব সভাকে এড়িয়ে চলছেন। কিন্তু কেবিনেটের (মন্ত্রীসভা) নির্দেশ আছে এই সভাগুলোতে অবশ্যই আসতে হবে। তাদের কার্যবিবরণী জানাতে হবে। ’

এসময় তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদারকে বলেন, যারা যারা আসেনি তাদের নাম লিখ। আমি বিকেলেই (রোববার) তাদের নামে ক্যাবিনেটে চিঠি পাঠাবো।

এই সভায় সব মিলিয়ে ৪২টি সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৭ তম সভায় কমিটির সদস্য হয়েও বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একাংশের সভায় না আসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন বলেছিলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সভা। এই সভাতে উপস্থিত থাকতে বলার পরেও না আসা খুবই দুঃখজনক। এটা মানা যায় না। এভাবে হলে তো কাজ এগুবে না। ’

এবার একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলা প্রশাসকও।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।