মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পটিয়া উপজেলার গৈরলার টেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
হাইওয়ে পুলিশের পটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের পাশে মাটি নরম হয়ে গেছে।
‘আমরা কমপক্ষে ১০ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আরও ৫-৬ জন আহত আছে। বাসের নিচে আর কেউ চাপা পড়ে আছে কি না সেটি জানতে হলে বাসটি তুলতে হবে। তবে কেউ থাকলে তার তো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ’
বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
আহতরা হলেন, মোহাম্মদ আলী (৬০), হাসান উদ্দিন (৩০), শহীদ (৩০), নাছির উদ্দিন (৭২), মালেক (৪০), রিদোয়ান (৩০), শেফালী দাশ (৪২), শওকত (৫০), সজীব (৩০), দাউদ (৬৭), গুরা মিয়া (২২), সাজেদা বেগম (১৭), বিমল সাহা (৬২), মোবারক (৪৫), রফিক (৩২) এবং বশর (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী এস এম রিদোয়ান কবির জানান, মহাসড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। একপাশের কাজ শেষ হওয়ায় আরেকপাশ নিচু হয়ে গেছে। শহর থেকে পটিয়াগামী বাসটি নিচু অংশ দিয়ে চলছিল। এতে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পটিয়ার তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আহত নাছির উদ্দিনের তিন মেয়ে। তিনি মেয়েদের দেখার জন্য পটিয়া যাবার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
পটিয়ার দক্ষিণ গোবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উম্মে তাসলিমা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আব্বু আমাদের দেখার জন্য শহর থেকে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মাথায় সেলাই হয়েছে। পরে নগরীতে নিয়ে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আব্বু যাতে সুস্থ হয়ে যান, সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি