সোমবার (১৯ জুন) সকালে ৭৫ জন শিক্ষার্থী এসএমএস’র (খুদে বার্তা) মাধ্যমে ঘরে বসেই ফলাফল হাতে পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা চলমান সেখানে দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিভাগটি।
স্পোর্টস সাইন্স বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৭ মে থেকে বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়।
এদিকে দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ৯ মে। এতে ২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেমিস্টারের মোট ৯ কোর্সের (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিকসহ) পরীক্ষা শেষ হয় চলতি মাসের ৭ জুন।
সোমবার সকালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ অকৃতকার্য হয়নি। এদের মধ্যে জিপিএ ৩.৫ এর উপরে পেয়েছেন ৫ জন। ২ শিক্ষার্থী জিপিএ ২.৫ এর নিচে ও বাকিরা সবাই জিপিএ ৩ এর কাছাকাছি পেয়েছেন।
দ্বিতীয় বর্ষের ২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৩.৫ এর উপরে পেয়েছেন ৩ শিক্ষার্থী। এই বর্ষেও কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়নি।
২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে চবিতে চালু হওয়া এই বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ এইচ এম রাকিবুল মাওলা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষাজট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভয়াবহ সমস্যা। আমি চাই না কোনো শিক্ষার্থী এই শিক্ষাজটের রাহুগ্রাসে পড়ুক। তাই তাদের কল্যাণে দিন-রাত এক করে পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রকাশে কাজ করেছি। শুধু আমার একাগ্রতা নয়, বিভাগের সম্মানিত সদস্যদের সচেতনতা, টেবুলেটরদের রাতদিন খেটে কাজ করে যাওয়া, পরীক্ষকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা-দ্রুত ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে জড়িত। ’
তিনি বলেন, ‘বন্ধের মধ্যেই ৭৫ জন শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল জানিয়েছি। আমার আশা, এই বিভাগকে আরও বেশি গতিশীল করার। ’
এদিকে দ্রুত পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করায় স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের দ্রুত ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক একটি দিক। এটি সবার জন্য অবশ্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেটির বিষয়ে স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ সফলতা দেখিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধুবাদ জানাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ডিনকে বলে দিয়েছি কীভাবে সেশনজট কমানো যায় তা দেখতে। প্রত্যেক বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে নিয়মিত মনিটরিং করছি। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার করেছি। আশা করছি, আগামী বছর থেকে কোনো বিভাগে আর সেশনজট থাকবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি