সেই আক্তার হোসেন কুতুবী এবার এর সঙ্গে নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে দোষ চাপালেন অফিস সহকারী ও টিকিউআই কর্তৃপক্ষের ওপর।
আগের দিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ সরোজ জাহান বানু তার কক্ষে বৈঠক ডাকেন।
বৈঠকে কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে আক্তার হোসেন কুতুবীর কাছে ব্যাখ্যা চান।
এ সময় আক্তার হোসেন কুতুবী বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে টিকিআই তাদের নামে উপবৃত্তির চেক পাঠায়। কিন্তু পরবর্তীতে টিকিউআই কর্তৃপক্ষ যারা চেক পেয়েছেন সেসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে যাচাইবাছাই করতে বলেন।
তিনি বলেন, টিকিউআই কর্তৃপক্ষের আদেশের প্রেক্ষিতে আমি চেক পাওয়া ১৭৮ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করা ১৩ শিক্ষার্থীর নাম বাদ করি। পরে তিনটি পরীক্ষার (এসএসসি, এইচএসসি ও ডিগ্রী) মধ্যে একটিতে ৩ পয়েন্টের নিচে পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর নাম বাদ করি। তাদের চেক বাতিলের বিষয়টি আমি টিকিউআই কর্তৃপক্ষকে জানাই বলি। কিন্তু এরপরেও তারা তাদের নাম বাদ দেয়নি। পরবর্তীতে টিপির তালিকায় এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভূক্ত করে তালিকা পাঠাতে আমি কলেজের অফিস সহকারীদের বলি। কিন্তু তারা সেটি পাঠায় নি। যার কারণে এই পাঁচ জন টিপি’র চেক পায়নি।
এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে বলেন, আবেদনের ক্ষেত্রে ফলাফলের বিষয়ে কোনো শর্ত ছিল না। তবুও মানলাম আমরা ভুলভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু টিকিউই কতৃপক্ষ কি আমাদের আবেদন যাচাই করেননি। করলে কেনো তারা আমাদের মনোনীত করে বারবার তালিকা পাঠান। আমরা যে বাতিল সেটিও জানতাম না। চেক আনতে গিয়েই আমাদের জানানো হলো আমাদের চেক বাতিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো নোটিশও দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষক বারবার টিকিউআই ও অফিস সহকারীদের দায়ী করেন।
এসময় অধ্যক্ষ অফিস সহকারীদের বাতিল হওয়া এসব শিক্ষার্থীদের তথ্য কেনো টিপির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি জানতে চাইলে তারা নিশ্চুপ থাকেন।
এদিকে শিক্ষক, অফিস সহকারী ও টিকিউআই কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পাঁচ শিক্ষার্থীর কপালে টিপির প্রাপ্য চেক জুটলো না। তারা এই চেক পাবে কিনা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাদের বলে দেন, এটা আমি আসার আগের ঘটনা। এখন এ বিষয়ে আমার করার কিছু নেই। তবুও আমি চেষ্টা করতে পারি।
প্রাপ্য চেক না পাওয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিলুফার ইয়াছমীন ও নিমু বড়ুয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার জন্য আমরা কেনো দায়ী হবো। আমরা আমাদের প্রাপ্য চেক চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি