ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৫ বছর আগের মামলায় মন্ত্রী মোশাররফের সাক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
২৫ বছর আগের মামলায় মন্ত্রী মোশাররফের সাক্ষ্য ২৫ বছর আগের মামলায় মন্ত্রী মোশাররফের সাক্ষ্য। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ২৫ বছর আগে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশরসহ দুজন হত্যা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং ঘটনার সময় তার গাড়িচালক ইদ্রিস মিয়া আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। জবানবন্দি দেয়ার পর দুজন সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি একেএম সিরাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় বিশেষ পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জেলা পিপি স্বরুপ পাল রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কার্যক্রমে অংশ নেন।   বাদিপক্ষে ছিলেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম ও ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত আইনজীবী।

 

ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি স্বরুপ পাল বাংলানিউজকে জানান, মোশাররফ ও বাদিসহ এই পর্যন্ত মামলার সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।   এর মধ্যে গত বছর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক (তৎকালীন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি) ইউনূস গণি সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১১ সালে আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট ভোলানাথ দে সাক্ষ্য দিয়েছেন।   ২০০৭ সালে ১ জন এবং ২০০৮ সালে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরুপ পাল।  

১৯৯২ সালের ৮ মে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেয় জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।   এতে সম্মেলনস্থলে জমির উদ্দিন নামে একজন নিহত হয়।   সম্মেলনের প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশরকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।   মোশাররফের বুকে রাইফেল ঠেকানোর পরও তিনি কোনমতে আত্মরক্ষা করেন।

এই ঘটনায় মোশাররফের গাড়িচালক ইদ্রিস বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।   ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩৪২, ৩০২, ৩২৪, ৩২৩ ও ৪২৭ ধারায় মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।   এতে ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছিল।   আটজনের মৃত্যুর পর এখন আসামি আছেন ২৩ জন।   এর মধ্যে একমাত্র শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নাছির উদ্দিন ওরফে শিবির নাছির জেলে আছেন।

২০০২ সালের ২৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর গত ১৫ বছরে সাতজনের সাক্ষ্য হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আদালতে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ইউনূস গণি, জসিম উদ্দিন শাহ, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।