মঙ্গলবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো.শাহে নূর তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া চারজন হলেন, পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক মো.নূরুল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কে এম আব্দুর রহিম ও প্রকৌশলী সালেকী আহমেদ আইনুল আব্বাসী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড কোম্পানির এমডি আনিসুর রহমান।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
জামিন শুনানিতে দুদকের চারজন পিপি অংশ নেন। লাবলু ছাড়া বাকি তিনজন হলেন, মুজিবুল হক চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং মাহমুদুল হক মাহমুদ। চারজন পিপি একসঙ্গে একটি মামলার কার্যক্রম অংশ নেয়ায় আদালতে হাস্যরস সৃষ্টি হয়। এসময় মহানগর পিপি মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুদকের আরও একজন পিপি আছেন। তাকেও শুনানিতে আনা হোক।
জানতে চাইলে ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বলেন, মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি ছিলাম আমি। বাকি তিনজন শুনানিতে সহযোগিতার জন্য হয়ত গিয়েছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুদকের উর্দ্ধতন পর্যায় থেকে আমাদের সবাইকে শুনানিতে থাকতে বলা হয়েছিল।
পদ্মা অয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়েরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল নগরীর সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
একইদিন দুটি হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানে জ্বালানি নেয়ার জন্য হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
আরডিজি/টিসি