মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় গরমে হাঁসফাস করছে মানুষ।
সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আগামী তিন-চারদিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তাপমাত্রা হয়তো কিছুটা কমবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৩ মে) চট্টগ্রামে সর্ব্বোচ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বাকী সময়ে এই তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ দশমিক ৪ মাইল ও আদ্রতা ৮৪ শতাংশ।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমের বায়ুর প্রভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। শুক্রবারের দিকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় হলে গরম কিছুটা কমতে পারে।
এর আগে সোমবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ৩, রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ও সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৮, শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে অসহনীয় গরমের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায় তাদের তো ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তাই অসহনীয় গরম যেন আরও অসহনীয় করে তুলেছে শ্রমজীবী মানুষের জীবন।
ষোলশহরের বাসিন্দা আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এই গরমে কোথাও শান্তি নেই। বাসা-বাড়ি, অফিস- আদালত, স্কুল-কলেজ, মাঠ-ঘাট সব জায়গায় একই গরম। কোথাও একটু বাতাস নেই। কোথাও একদণ্ড শান্তি নেই। এই গরমে টেকাই দায় হয়ে পড়েছে।
গরমে ফুটপাতের শরবতের দোকানে গিয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন অনেকেই। তবে ফুটপাতের এসব শরবত পান না করে বেশি করে স্যালাইন ও ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
আইএসএ/টিসি