অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। রোটারিয়ান অমল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিইয়ং ম্রো, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইসমাঈল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পরে রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ অতিথিদের ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুফি মুহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ খুবই কর্মঠ ও আগ্রহী।
শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক তৈরির জন্য বান্দরবানে আন্তর্জাতিক মানের একটি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন তিনি।
সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দিলে পিএইপি গ্রুপের অর্থায়নে দ্রুতই এখানে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি তিনি বলেন, পৃথিবীতে আমার যা কিছু আছে, তার কোনো সম্পদই আমার নয়। আল্লাহর আমানত আমি শুধু ব্যবহার করছি। মানুষকে মানব সন্তান হিসেবে সম্মান করতে হবে। ধনী গরিব, বিভিন্ন ধর্ম গোত্রের মানুষ আমরা সবাই মানব সন্তান। পৃথিবীতে সবকিছুর শেষ আছে, কিন্তু দানের শেষ নেই। দানের মধ্যে যে সুখ আছে, তা কোনো কিছুতেই পাওয়া যায় না। ভোগে নয়, ত্যাগের মধ্যে পরিপূর্ণ সুখ শান্তি লুকিয়ে আছে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, পাহাড়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পিএইচপি ফ্যামিলির পক্ষ থেকে বান্দরবানে অ্যাম্বুল্যান্সটি দিয়েছে। পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে পিএইচপি ফ্যামিলিসহ দেশের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পিএইচপি ফ্যামিলির দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। জেলার সাতটি উপজেলার দুর্গমাঞ্চলগুলোতে গরিব অসহায় রোগীদের সুচিকিৎসায় বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্সটি ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি