ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬০ হাজার কোটি টাকার জাকাত হবে বাংলাদেশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
৬০ হাজার কোটি টাকার জাকাত হবে বাংলাদেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জাকাত ফেয়ার অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যসচিব ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সঠিক হিসাবে স্বচ্ছভাবে জাকাত আদায় করলে বাংলাদেশে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকার জাকাত হবে বলে ধারণা করছেন সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) জাকাত ফেয়ার অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যসচিব ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

সোমবার (১৫ মে) দুপুরে নগরীর জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সিজেডএমের পঞ্চম জাকাত ফেয়ার উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ ধারণার কথা জানান।

তিনি বলেন, ৫-৭ বছর আগে আমেরিকা প্রবাসী একজন অধ্যাপক গবেষণা করে বলেছিলেন বাংলাদেশে সঠিকভাবে হিসাব করলে ৩০ হাজার কোটি টাকা জাকাত আদায় হবে।

বর্তমানে অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি তাতে এটি দ্বিগুণেরও বেশি হবে। যদিও আমরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করিনি।
  

সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) পঞ্চম জাকাত ফেয়ার শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ মে) চিটাগং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, জাকাতবিষয়ক পরামর্শ ডেস্ক, ছাড়াও জাকাত গ্রহীতাদের তৈরি পণ্যসম্ভার, বই, উপহারসামগ্রী, নারীর পোশাকের স্টল থাকবে ফেয়ারে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম‌এ মালেক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সচিব এএমএম নাসির উদ্দিন। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেবেন জাকাত ফেয়ার অর্গানাইজিং কমিটির আহ্বায়ক সালাউদ্দিন কাসেম খান। জাকাত ফেয়ার উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা

ফেয়ার অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যসচিব ও সাবেক তথ্য সচিব ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকার পরই চট্টগ্রামের স্থান। চট্টগ্রাম পবিত্র নগরী। এবার চট্টগ্রামকেই জাকাত ফেয়ারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। সিজেডএমের এখানকার মোহরা প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। আমরা স্বপ্ন দেখছি দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানোর।

তিনি বলেন, সিজেডএম শুধু গরিব মুসলিমদের জন্য কাজ করছে না। আমরা হিন্দুসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গরিবদের স্বাবলম্বী করার জন্য সদকা তহবিল থেকে সাহায্য করে থাকি। আমরা চাই সমন্বিতভাবে কাজ করতে।

বিদেশি দানের সঙ্গে সিজেডএমের সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিজেডএমে কোনো বিদেশি অনুদান বা দান গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়নি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের পরিচ্ছন্ন কিছু শিল্পোদ্যোক্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। এটি কোনো এনজিও নয়। আমরা কাউকে বলি না আপনি জাকাত দেন। কেউ যদি বলেন আমি জাকাত দিতে চাই তাহলে আমরা জাকাত নির্ধারণে সহায়তা, পরামর্শ দিয়ে থাকি। কেউ যদি বলে আমার জাকাতের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করতে চাই। তাহলে আমরা উনার আলাদা হিসাব খুলে দিয়ে যারা জাকাত গ্রহণ করতে পারেন তাদের মধ্যে শিক্ষা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ইত্যাদি খাত নির্ধারণ করে দিই। সিজেডএমের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৭০ জন উপকৃত হয়েছেন জাকাতের টাকায়।

সিজেডএমের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার জাকারিয়া আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কার্যক্রম ও সেবার বছরভিত্তিক তুলনামূলক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।

জাকাত ফেয়ারের দ্বিতীয় দিন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে ‘দারিদ্র্যবিমোচন ও মানবকল্যাণে জাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। বিকেল তিনটায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।