ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক পক্ষের সভা বয়কট, হাতাহাতিতে বন্দর সিবিএ নেতারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এক পক্ষের সভা বয়কট, হাতাহাতিতে বন্দর সিবিএ নেতারা ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।

বন্দর সিবিএ’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনছুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে সহসভাপতি আবদুর রহমান শিকদার ও যুগ্ম সম্পাদক রফি উদ্দিন খানের সমর্থদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সিবিএ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন কর্মচারী সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া ভ্রমণে যান।

সরকারি ওই সফরে চট্টগ্রাম বন্দরের পাঁচজন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তা ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সম্পাদক বিদেশ থাকা অবস্থায় গত ৪ এপ্রিল পরিষদের সভা আহ্বান করে ওইদিন একটি কমিটি গঠন করে তা যুগ্ম শ্রম পরিচালকের দফতরে জমা দেওয়া হয়।

এতে বর্তমান কমিটির পঞ্চম সহসভাপতি আবদুর রহমান শিকদারকে সভাপতি ও দ্বিতীয় যুগ্ম সম্পাদক রফি উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।  

পরে বিষয়টি শ্রম পরিচালককে জানানো হলে তাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী উল্লেখ করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয় জানিয়ে শ্রম পরিচালকের দফতর থেকে চিঠি দেন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের রেজিস্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন মো.গিয়াস উদ্দিন।

সূত্র জানায়, বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত পোর্ট এক্সপো সফল করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার মেজবান কমিটির সভা আহ্বান করেন আহ্বায়ক নজমুল হক। সভা শুরুর আগে নির্দিষ্ট স্থানে প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ পরেই সভাস্থলে প্রবেশ করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যরা।

এসময় প্রস্তাবিত কমিটির চার নেতা উপস্থিত থাকলে সভা বয়কট করার ঘোষণা দেন আবুল মনছুর ও ফখরুল ইসলাম। কমিটির আ্হ্বায়ক উভয় পক্ষকে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। পরে সংক্ষিপ্তভাবে সভা শেষ করে সবাই বের হয়ে যান। বন্দর ভবনের নিচ তলায় গিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়ায় তারা।

ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিদেশ থাকাকালীন সময়ে একটি সভা করে কমিটি গঠন করে জেডিএল দফতরে দেয়। সেখান থেকে তাদের কার্যক্রম অবৈধ বলে ঘোষণা করে চিঠি দিয়েছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করায় কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। বিষয়টি আমরা চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

তবে গঠনতন্ত্র মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আবদুর রহমান শিকদার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সভা করে কমিটি গঠন করেছি। আমাদের বিষয়টি শ্রম আদালত আমলেও নিয়েছে। কিন্তু তারা (বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) জেডিএল’র সঙ্গে দেখা করে কিভাবে কিভাবে জানি (বুঝেন তো) বিষয়টি স্থগিত করেছে।

মেজবান কমিটির আহ্বানে সভায় গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ডেকেছে তাই গিয়েছি। আমাদের দেখে তারা সভা বয়কট করেছে। পরিষদের একটি পক্ষ আমাদের লোকজনকে লাঞ্ছিত করেছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।