ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৮ বছর পর চসিকের অর্গানোগ্রাম প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
২৮ বছর পর চসিকের অর্গানোগ্রাম প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে ১৯৮৮ সালে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর আমলে চসিকের অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হয়েছিল।

চট্টগ্রাম: ২৮ বছর পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাব (অর্গানোগ্রাম) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ১৯৮৮ সালে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর আমলে চসিকের অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হয়েছিল।

মেয়রের সই করা ১৩ হাজার ৪৫৫ পদসংখ্যার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রামটি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা রোববার মন্ত্রণালয়ে জমা দেন।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামে ৩ হাজার ১৮০ পদসংখ্যা ছিল।

এর মধ্যে সচিব বিভাগে ৩১১, হিসাব বিভাগে ৩৮, স্বাস্থ্য বিভাগে ৩৩৯, শিক্ষায় ৫১৯, প্রকৌশলে ৪৯৪, পরিচ্ছন্নতায় ১ হাজার ১৮১ ও রাজস্বে ২৯৮টি পদ ছিল। ২০০২ সালে ৬ হাজার ৫৪১ জনের অর্গানোগ্রাম সেটআপ পাঠানো হলে ২০১৫ সালে ১ হাজার ৪৬ জনের ছাড়পত্র দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
কিন্তু স্কেল নির্ধারণসহ নানান জটিলতায় ওই পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, নতুন অর্গানোগ্রাম প্রস্তাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের আদলে প্রকৌশল বিভাগ থেকে আলাদা করে নগর পরিকল্পনা বিভাগ গঠন এবং সচিবালয় বিভাগকে প্রশাসন বিভাগ ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামকরণ করা হয়েছে।

আগামী কয়েক যুগের প্রয়োজনীয়তা ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে এবার প্রশাসন বিভাগে ৯২৬, রাজস্বে ৬৩৭, শিক্ষায় ২ হাজার ২৩৮, হিসাবে ১১২, স্বাস্থ্যে ১ হাজার ৯৭০, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৩০৫, প্রকৌশলে ২ হাজার ৭৫ ও নগর পরিকল্পনা বিভাগে ১৯২ জনের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্গানোগ্রামে তাদের বেতন স্কেল, নিয়োগের যোগ্যতা, কাজের বিবরণ, নিয়োগের যৌক্তিকতা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে চসিকে সচিব বিভাগে ৬৬৯, হিসাবে ৫১, রাজস্বে ৩৮৪, স্বাস্থ্যে ১ হাজার ৩১, শিক্ষায় ১ হাজার ৮৩৬, পরিচ্ছন্নতায় ১ হাজার ৯১৭ এবং প্রকৌশলে ১ হাজার ৫৯১ জন মিলে ৭ হাজার ৪৭৯ জন কাজ করছেন। ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামের অসুবিধা হচ্ছে অনুমোদিত নিয়োগবিধি নেই। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।  

চসিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম জনপ্রশাসন, অর্থ, মন্ত্রিপরিষদ, আইন মন্ত্রণালয় ঘুরে পাস হয়ে থাকে। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।

৫৫০৯ পদ বাড়ছে চসিকের নতুন অর্গানোগ্রামে

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭

এআর/টিসি

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।