দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ এবং নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন কোয়ালিটির রসুন আসছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বছরখানেক আগেও ভারতে রসুনের দাম বেড়ে যাওয়া আমাদের দেশে আমদানি করা চীনা রসুন চোরাইপথে পাচার হতো। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। ভারত থেকে আসা রসুনে দেশে চীনা রসুনের যে একচেটিয়া বাজার ছিল সেটির লাগাম টেনে ধরেছে। চীনা রসুনের দাম কমে যাওয়ার পেছনে দেশি রসুনের প্রভাবের চেয়ে ভারতের রসুনের আধিপত্যই বেশি।
একজন আড়তদার বাংলানিউজকে জানান, ‘বুম’, ‘এএএ’ ইত্যাদি ব্রান্ডের ভারতীয় রসুন খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে অবিকল চীনা রসুনের প্লাস্টিক বস্তার মতো বস্তায় ভরে। প্রতি বস্তায় ২১-২২ কেজি রসুন থাকছে। সহজে বহনযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট আর খুচরা বিক্রেতারা ভালোমানের ভারতের রসুনের দিকে ঝুঁকছে। এতে তাদের লাভটা বেশি হচ্ছে।
কদম মোবারক মার্কেটের একটি মুদির দোকানে বাজার করতে এসেছিলেন গৃহিণী রেহানা আকতার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠেলাগাড়িতে দেখলাম বড় দানার চীনা রসুনের দাম কমে যাচ্ছে। কিনে দেখলাম ঝাঁজটাও কম। পরিচিত এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এগুলোর কোয়া বড় হলেও ভারতীয় রসুন। শুনে অবাক হলাম। এতদিন জানতাম ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে, এবার দেখছি রসুনও আসছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি বাংলাদেশের মেহেরপুরি পেঁয়াজ ৯ টাকা, ভারতের খাশখালী ১২ টাকা এবং নাসিক ১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ ১৬-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া পাইকারিতে প্রতিকেজি চীনা আদা ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ৩৫ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি