বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আলাওলের বাবা মো.শাহআলম এবং ভাই সালাহউদ্দিন (১৮) এসে মরদেহ দেখে তাকে শনাক্ত করেন। এসময় উভয়ই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে জানান, আলাওলের বাড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকার মদনহাটে হেলাল চৌধুরীর বাড়িতে। তাকে কারা খুন করতে পারে, সেই বিষয়ে এখনও পরিবারের সদস্যদের সাথে পুলিশ কথা বলতে পারেনি।
আলাওলের বন্ধু সাদেক হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, অনার্সে আমরা একসঙ্গে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার রোল নম্বর ২৯, আলাওলের ছিল ৩০। দুজনের বাবার নাম একই। সে ছিল আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
সাদেক জানান, মাঝে মাঝে আলাওল অক্সিজেন এলাকায় আসতেন। আলাওলের সঙ্গে যে তরুণীর সম্পর্ক ছিল তার সম্প্রতি বিয়ে হয়ে যায়। ওই তরুণী অক্সিজেন এলাকায় থাকেন।
এর আগে বুধবার রাত দেড়টার দিকে বায়েজিদের পশ্চিম শহীদনগর এলাকায় হাত-পা বাধা অবস্থায় বাসার টয়লেট থেকে আলাওলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির বাসিন্দা ওমান প্রবাসী আবু ছৈয়দের মালিকানাধীন শহীদনগর এলাকার চারতলা বাড়ির তিন তলার একট বাসা খালী ছিল। বিজ্ঞপ্তি দেখে মঙ্গলবার এক যুবক ও এক তরুণী বাসা ভাড়া নিতে আসে। তবে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক হাসিনা আক্তার না থাকায় ওইদিন তাদের বাসা দেখানো সম্ভব হয়নি।
বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিন যুবক ও এক তরুণী পুনরায় বাসা দেখতে আসেন। এসময় তারা এক বস্তা মালামালসহ নিয়ে আসেন। পরে বাসা খুলে দেওয়া হলে তারা বাসাটা পরিস্কারের জন্য তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে একটি বালতি নেন। পরে তারা বাজার আর অন্যান্য মালামাল নিয়ে আসার কথা বলে বাসা থেকে বের হন।
এদিকে রাত ১১টার দিকে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ওই বাসার সামনে দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেন বাসার দরজা খোলা। পরে ভেতরে কারও আওয়াজ না শুনে তিনি সেখানে প্রবেশ করেন। বাসার টয়লেটের দরজা খোলে দেখেন এক যুবক হাত-পা বাধা অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে সিআইডি গিয়ে ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
জেইউ/আরডিজি/টিসি