শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের চার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম হোসেন মো.রেজার আদালতে পাঠায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। এর মধ্যে দুই মামলায় তাদের ১৫ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী।
শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন এবং সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় সাতদিন সহ মোট ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীতাকুণ্ড থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এইচ এম মশিউর রহমান।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান বাংলানিউজকে বলেন, চারটি মামলার মধ্যে নামারবাজারের ঘটনায় দায়ের দুইটিতে ১৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছি। সময়ের অভাবে বাকি দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদন জমা দিতে পারিনি। সেগুলোতেও পরবর্তীতে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজার এবং প্রেমতলায় পৃথক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলা, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুদ রাখার জন্য চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি সন্ত্রাস দমন আইনে এবং একটি অস্ত্র আইনে ও আরেকটি হত্যা মামলা।
প্রত্যেক মামলায় নামারবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া দম্পতি জহিরুল ইসলাম জসিম এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা আরজিনা এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ।
বুধবার বিকেল তিনটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০ ঘণ্টার এ অভিযানে ২০ জনকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি