ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তিন যুবকের সাইকেল অভিযান

তুষার তুহিন, স্টাফ করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
তিন যুবকের সাইকেল অভিযান সাইকেল অভিযানের তিন সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন, মুহাম্মদ রুবেল হোসেন ও গাজী মুনছুর আজিজ। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পয়েন্ট।  শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় হিমছড়ি বাজারে দেখা গেল সাইকেল আরোহী তিন যুবক।  পরনে সাদা টি-শার্ট।  তাতে লেখা ‘দেখুন বাংলাদেশ-জানুন বাংলাদেশ’। আয়োজনে বেসরকারি পর্যটন উন্নয়ন সংস্থা ‘পথিক লিমিটেড’।

কক্সবাজার: কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পয়েন্ট।  শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় হিমছড়ি বাজারে দেখা গেল সাইকেল আরোহী তিন যুবক।

 পরনে সাদা টি-শার্ট।  তাতে লেখা ‘দেখুন বাংলাদেশ-জানুন বাংলাদেশ’।
আয়োজনে বেসরকারি পর্যটন উন্নয়ন সংস্থা ‘পথিক লিমিটেড’।

পর্যটকদের সঙ্গে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলছেন তারা। বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং সৈকত ঘেঁষে তৈরি মেরিনড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্য ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পর্যটকদের সচেতন করছেন তারা।

কিছুক্ষণ পর সাইকেল চালিয়ে তারা গেলেন ইনানী সৈকতে। সেখানেও দেশের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে লোকজনকে সচেতন করছেন।   সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন।

তিন সদস্যের এই সাইকেল অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুহাম্মদ আবুল হোসেন। দলের অপর দুই সদস্য মুহাম্মদ রুবেল হোসেন ও গাজী মুনছুর আজিজ।

সাইকেল অভিযান প্রসঙ্গে দলনেতা মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে।  দেশি বিদেশি লাখো পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। ভবিষ্যতে আরও লোকজনকে আনতে হবে। তাই এই অভিযান। মেরিনড্রাইভ সড়কটি সাইকেল চালানোর জন্য খুবই উপযোগী। এই সড়কে আর্ন্তজাতিক সাইকেল প্রতিযোগিতা করা যায়। এতে ব্যাপক সাড়া মিলবে।

তিনজনের এ দলটি কক্সবাজার-টেকনাফের প্রায় ৮৬ কিলোমিটার মেরিনড্রাইভ সড়কে দুদিনের সাইকেল অভিযান শুরু করে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)। প্রথমদিন সকাল ৯টায় কলাতলী হাঙ্গর ভাস্কর্য থেকে সাইকেল চালানো শুরু করেন। এরপর কলাতলী, বড়ছড়া, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটোয়ারটেক, বাহারছড়া, জাহাজপুরা, মহেশখালীয়াপাড়া, টেকনাফ বাসস্টেশন সহ ১৫টি স্থানে তারা পথসভা করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদে চত্বরে পৌঁছান।

এসময় পর্যটকসহ স্থানীয় লোকজনকে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত ও দৃষ্টিনন্দন মেরিনড্রাইভ সড়কের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সচেতন করেন তারা। এরপর টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরে ফিরে আসেন। শুক্রবার সকালেও একইভাবে তারা টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, সাইকেল অভিযানের সময় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, ইনানীর পাথুরে সৈকত, টেকনাফের মাথিনের কুপ, নাফ নদী, জালিয়ারদিয়ার অপরূপ সৌন্দর্য এবং দর্শনীয় স্থানগুলোর ভিডিও চিত্র ধারণা করা হয়েছে। পর্যটনের অপার এই সম্ভাবনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে কক্সবাজার সৈকতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসার জন্য নয়-শখের বশে দেশের মানুষের জন্য অন্যরকম এই সাইকেল অভিযান। মানুষকে সচেতন করা গেলে দেশটা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬

টিটি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।