চট্টগ্রাম: নগরীর জামালখান এলাকার অরবিট ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ সহ মোট ১০টি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রেক্ষিতে নির্ধারিত পরিমাণ ফি’র বিনিময়ে কয়েকশ আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নিয়োগ পরীক্ষার সময় ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে উধাও হয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।
ফলে নির্ধারিত দিনে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রার্থীরা। নিয়োগ পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা এই আশাঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র বাবদ আয় করা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা বেশ কয়েকজন প্রার্থী বাংলানিউজকে জানান, পূর্বনির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষার অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকেই প্রতিষ্ঠানটির আশেপাশে ভিড় করেন কয়েকশ আবেদনকারী। কিন্তু পরীক্ষার পূর্বনির্ধারিত সময় সকাল ১০টাও প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা ঝুলতে দেখলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে সাড়া মেলেনি। স্কুলের কাউকে খুঁজে না পেয়ে বাড়ির মালিকের কাছে যান। মালিক তাদের বলেন, তিন বছর ধরে ঘর ভাড়া বাকি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি।
চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করা ইউছূফ নুরু শ্রাবণ নামের একজন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মোট ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। এই বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশ করেছিল তারা। পদ অনুসারে ২০০ থেকে ধারাবাহিকভাবে ৭০০ টাকার মধ্যে ছিল আবেদন ফি। আমরা প্রায় দু’হাজার আগ্রহী নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে আবেদন করি। শুক্রবার ছিল নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বনির্ধারিত সময়। কিন্তু আমরা পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে দেখি প্রতিষ্ঠানটিতে তালা ঝুলানো।
সাদিয়া আক্তার ও আফরোজা খানম নামের আরও দুজন আবেদনকারী বলেন, আমাদের ধারণা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ নিয়োগের নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর মাধ্যমে তারা আবেদন বাবদ আয় করা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে অরবিট ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ভিড় করেন কয়েকশ আবেদনকারী চাকরি প্রত্যাশী।
এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার কাছে আবেদনকারীরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। মেয়র বিষয়টি দেখবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি
