ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন। ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণ, সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ পরিহারসহ ১০টিরও বেশি আলোচ্যসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধিদের (ডিসি-ডিএম) দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন।

চট্টগ্রাম: নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণ, সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ পরিহারসহ ১০টিরও বেশি আলোচ্যসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধিদের (ডিসি-ডিএম) দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর মোটেল সৈকতে এই সম্মেলন শুরু হয়।

সম্মেলনে উভয় দেশের তিনটি করে মোট ছয়টি সীমান্তবর্তী জেলার প্রশাসক, বিজিবি প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

উভয় দেশের এই ছয়টি সীমান্তবর্তী জেলা হল বাংলাদেশের-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও মৌলভিবাজার এবং ভারতের উনাকাটি, ধলাই ও উত্তর ত্রিপুরা।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার।

রুহুল আমিন ও সোমনাথ হালদার তাদের বক্তব্যে দুই দেশের সম্প্রীতি ও বন্ধন সবসময় অটুট রাখার জন্য একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উনাকাটির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি আর ভট্টাচার্য।

সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বক্তব্যে ভারত বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরেন। পরে তিনি সম্মেলনের আলোচ্যসূচিগুলো তুলে ধরেন।

আলোচ্যসূচির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সড়ক নির্মাণ, সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠা, সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ পরিহার, সীমান্ত এলাকায় যৌথ ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা, নারী ও শিশুপাচার রোধ, মাদক চোরাচালান রোধ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও সন্ত্রাস নিরোধ করা, বিজিবি-বিএসএফ’র যৌথ টহল জোরদার, সীমান্ত এলাকার নদ-নদীর বাধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা, উভয় দেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদান এবং জাল নোট রোধ করা।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা পি আর ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে উভয় দেশের সুসম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে উভয় দেশই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা শেষে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচ্যসূচিগুলো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের ধলই জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিনিধিরা, রাঙামাটি জেলার সঙ্গে প্রতিনিধিদের সঙ্গে উনাকাটি জেলার প্রতিনিধিরা এবং মৌলভিবাজারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধলই ও উনাকাটি জেলা প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেন।

একইদিন সন্ধ্যায় উভয় দেশের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় মোটেল সৈকতে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।