ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিগারেট আটক

কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যারের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যারের বিরুদ্ধে মামলা

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা ১৩ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট আটকের ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম: বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা ১৩ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট আটকের ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মামলায় আমদানিকারক ছাড়াও সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান সারাসিন কর্পোরেশনের মালিক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, জেটি সরকার খোকন কান্তি বিশ্বাস, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এক্সপো লিংক কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাসুদ রানা ও জালিয়াত চক্রে জড়িত মিজানকে আসামি করা হয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সোহেল উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি এর উপধারা ১(বি)/২৫-ডি, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনের ১৫৬(১)এর ৮, ৯(১), ১৪, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজহারে উল্লেখ কর হয়েছে, মিথ্যা ঘোষণায় ইপিজেড’র মতো স্পর্শকাতর সেক্টরকে ব্যবহার করে চোরাচালানের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি আইন লঙ্ঘন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তি।

আমদানি চালানের ঘোষিত মূল্য ১৮ লাখ টাকা হলেও আমদানি করা হয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সিগারেট। পণ্য আমদানির নামে চোরাচালানী চক্র অবৈধভাবে দেশের বাইরে মুদ্রা পাচার করেছে।

এদিকে মামলার এক নম্বর আসামি খোকন কান্তি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলার দ্বিতীয় আসামি মিজান এ চক্রে জড়িত। মামলার বাদি মো. সোহেল উদ্দিন জানান, চালানটি আটকের ঘটনা টের পাওয়ার পর থেকেই মিজান পলাতক রয়েছে। তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

চালানটি আটকের পর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড দাবি করেছে এ ধরনের কোন চালান তারা আমদানি করেনি। প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান এ ধরনের জালিয়াতি করেছে।

তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি সঠিক নয়। কারণ তাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া চালান আমদানি অসম্ভব। জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পর আমদানিকারকরা এ ধরনের অজুহাতই দেখায়।

এদিকে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান সারাসিন কর্পোরেশনের মালিক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড। এতে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এক্সপো লিংক কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাসুদ রানা, জেটি সরকার খোকন কান্তি বিশ্বাস ও মিজানকে আসামি করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার মিনহাজ উদ্দিন খাঁন বাদি হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

কাদেনা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড নামে কুমিল্লা ইপিজেড’র একটি প্রতিষ্ঠান চায়না থেকে বোতাম ও ট্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ঘোষণা দেয়। গত ১৪ ডিসেম্বর বিল অব এন্ট্রি (সি-২৩৫০২৬) দাখিল করে পণ্য খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান সারাসিন কর্পোরেশন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি খালাস পর্যায়ে স্থগিত করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে চালানটির কায়িক পরীক্ষার শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।