ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নেওয়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
চট্টগ্রামে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নেওয়া হয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের ১৮০ বছরপূর্তি উৎসবে ড. ইউনূস। ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রামে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকায় সিডিএ থেকে একটা জায়গা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেখানে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। অনুমোদন পেলে আগামী বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

চট্টগ্রাম: নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রামে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকায় সিডিএ থেকে একটা জায়গা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেখানে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো।
অনুমোদন পেলে আগামী বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ১৮০ বছরপূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘সামাজিক ব্যবসা প্রেক্ষাপট : বিশ্ব ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ইচ্ছা আছে নার্সিং কলেজকে সম্প্রসারিত করে মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে রূপান্তরিত করা। নার্সিং কলেজ করতে গেলে হাসপাতালের প্রয়োজন হয়। কাজেই এই তিনটা জিনিসই আমাদের একসঙ্গে করতে হবে। নার্সিং কলেজ নির্মাণে আমরা প্রস্তুত আছি। অনুমোদন পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
জোবরা গ্রামের সেই তেভাগা খামারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস আরও বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়ে আমি আমেরিকা যাই। সেখানে ৩ বছর শিক্ষকতাও করেছি। সেখান থেকে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। সেখানে থেকে চিন্তা করলাম জোবরা গ্রামকে কিভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যায়। সেই অভিপ্রায়কে কাজে লাগিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করলাম। ওখানে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। পরে একটি কমিটি করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। পরে তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করি। সেখান থেকেই ব্যবসা শুরু। আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৩ সালে এটাকে ব্যাংকে রূপান্তরিত করলাম।  
এখন সামাজিক ব্যবসা শুরু করলাম। এ ব্যবসা ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর পরিধি বিস্তারের লক্ষে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের দেশে ইতোমধ্যে নার্সিং কলেজ, অটোমেকানিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখান থেকে ডিগ্রি নিয়ে ইতেমধ্যে কাজে লেগে লেগেছে। সম্প্রতি ৪৯ জনসহ ৫টি ব্যাচ নার্সিং কলেজ থেকে পাস করে বেরিয়েছে। অটোমেকানিক স্কুল থেকেও বের হচ্ছে অনেক যুবক। স্বনির্ভর করতে এ কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েটস এর সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ১৮০ বছরপূর্তি ও পূনর্মিলন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এবং সদস্য সচিব মোস্তাক হোসাইন। সভায় হাজারো প্রাক্তণ শিক্ষার্থী এ গৌরবময় স্কুলের পুনর্মিলনীতে এসেছেন। পুরনো বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।