ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এ মাসেই ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবে চসিক

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
এ মাসেই ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবে চসিক ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: ‘ডোর টু ডোর’ বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে আগস্টে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাতটি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছিল প্লাস্টিকের বিন। তিন মাসের বেশি সময় পর এবার সেই বিন থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে চসিক।

আগামী ২০ নভেম্বর থেকে বিন থেকে বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর কথা জানালেন চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরী গড়তে বদ্ধপরিকর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশ।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে আমরা বিন পৌঁছে দেব। এরপর দুমাস সময় নেবো যাতে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে শতভাগ সফল করার লক্ষ্যে নিজেরা প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি (২০১৭) থেকে হার্ড লাইনে যাবো। চট্টগ্রামকে শতভাগ ক্লিন সিটি করবো আমরা। পুরো নগরীকে এলইডি লাইটিংয়ের আওতায় আনবো। তিন অর্থবছরের মধ্যে সব সড়ক কার্পেটিং করবো। আগামী ষোলই ডিসেম্বরের আগেই চসিকের সব সেবাধর্মী কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসবো।

তিনি জানান, ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ একটি মেগা প্রকল্প। পাঁচ ধাপে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে বিন বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ২ হাজার সেবক, ১০ লাখ বিন ও ২ হাজার রিকশাভ্যান, বেতনভাতা বাবদ বছরে সাড়ে ২৮ কোটি টাকা এবং ভ্যান ও বিন বাবদ ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, গ্রিন ও ক্লিন সিটি গড়ার লক্ষ্যে মেয়রের আহ্বানে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক শিল্পগ্রুপ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চসিককে বিন ও রিকশাভ্যান দিয়ে সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, এস আলম গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলি, শাহজালাল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, চিটাগাং ক্লাব লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশাকরি, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিন বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।       

শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে জানান, গত ১ আগস্ট গোসাইলডাঙা ওয়ার্ডের বারেক মিঞা স্কুল প্রাঙ্গণে মেয়র ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী, ৩১ নম্বর আলকরণ ও ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে বিন বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি আমরা। বর্তমানে ওই সাত ওয়ার্ডের বাইরে আরও ১৯টি ওয়ার্ডে বিন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত তিন লাখ বিন বিতরণ হয়ে গেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যেসব ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করবো সেখানে উন্মুক্ত ডাস্টবিনগুলো অপসারণ করা হবে। ইতিমধ্যে হেমসেন লেনের ব্যাংক কলোনি, রহমতগঞ্জের কুসুমকুমারী স্কুল, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের মাহবুব উল আলম সড়কের মুখ, আসকার দীঘির রামকৃষ্ণ মিশন, কৃষ্ণকুমারী স্কুল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন অপসারণ করেছি। ডাস্টবিনগুলোর জায়গা অগ্রাধিকার বিবেচনা করে গাড়ি ও পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও বেদখল হওয়ার আশঙ্কা থাকলে গার্ডেনিং করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, হেলদি ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত জামালখানে ৩০টি ডাস্টবিন আছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে। শিগগির জেএম সেন এলাকার দুটি ডাস্টবিন ভেঙে অপসারণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে নগরীতে আর উন্মুক্ত ডাস্টবিনই রাখা হবে না।      

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।