চট্টগ্রাম: ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের জামায়াত-শিবিরের ‘মদদপুষ্ট’ আট শিক্ষক ও তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপকর্ম ও নৈরাজ্য নির্মূলে ছাত্রলীগের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজে গণসংগীত ও গণবিজ্ঞপ্তি পাঠ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্যের সময় এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা প্রকাশ করেন বলে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল হক, গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহ চৌধুরী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবু তাহের, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও আবু তাহের এবং কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও মফিজ উল্লাহর নাম এসেছে।
মহসিন কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নুরুন নবী, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবুল বাশার এবং কর্মচারী মো. কবিরের নাম ছিল বিজ্ঞপ্তিতে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গণসংগীত পরিবেশন করেন আওয়ামী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরা। পরে দুপুর দেড়টায় গণবিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা পাভেল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইয়াসিন আরাফাত কচি, এম কাইসার উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদস্য কামরুল হুদা পাভেল ও মোস্তফা কামাল। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে ও ওবায়দুল হকের পরিচালনায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলশি ফাঁড়ি নির্মাণ, মূল ফটক ব্যতীত সব ফটক বন্ধ রাখা, ক্যাম্পাসের ভেতরের আবাসিক স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া, ছাত্রাবাসের সুপার ও মসজিদের ইমামকে অপসারণ করা, অস্থায়ী ও খণ্ডকালীন কর্মচারীদের অপসারণ ও ক্যাম্পাসে বিদ্যমান দোকান বন্ধ করা, তিন দশক ধরে ছাত্র সংসদের নামে আদায় করা অর্থের হিসাব সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নামে গড়ে ওঠা শিবিরের অস্ত্রের মজুদখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া, নাশকতা ও অস্ত্র আইনের মামলার আসামি ছাত্রদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও চিহ্নিত শিবির ক্যাডারদের ছাত্রত্ব বাতিল করা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরের মধ্যে এসব দাবি মেনে না নিলে ছাত্রলীগ দুই কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের এক দফা আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
টিএইচ/এআর/টিসি