ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৯০০ টন পচা আপেল, কমলা, আলু ধ্বংস করা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
৯০০ টন পচা আপেল, কমলা, আলু ধ্বংস করা হচ্ছে

চট্টগ্রাম: বিদেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা প্রায় ৯০০ টন আপেল, কমলা এবং বিদেশ ফেরত রপ্তানির আলু সংশ্লিষ্টরা খালাস না নেওয়ায় ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রথম দফায় নগরীর পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ৪০ ফুট দীর্ঘ ২১টি কনটেইনার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।



শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি কনটেইনারের পচা-গলা পণ্য বিশাল গর্তে ফেলে কনটেইনার খালি করে শিপিং এজেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর, কাস্টমস, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মোট ৪২টি কনটে‌ইনার খালি হবে এ যাত্রায়।


পচা পণ্য খালাসকালে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল হাশেম, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ারা বেগম, কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. আবুল কাসেম, চপল চাকমা প্রমুখ।  

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. আবুল কাসেম বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে আপেল ও কমলাগুলো আমদানি হলেও নানা কারণে আমদানিকারক খালাস নেননি। আবার রাশিয়ায় রপ্তানি করা কিছু আলু ফেরত আসার পরও রপ্তানিকারক তা বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়নি। নিয়ম রয়েছে আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না নিলে বন্দরের রিমোভাল লিফট (আরএল) অনুযায়ী কাস্টমস নিলাম করে দেবে। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে বন্দরের স্টোর রেন্ট ও শিপিং এজেন্টের কনটেইনার ভাড়া ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে হয়তো আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক লোকসানের আশঙ্কায় এ ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ৪৩টি কনটেইনার শনাক্ত করেছিলাম পচনশীল পণ্যগুলো ধ্বংস করার। শেষমুহূর্তে একটি কনটেইনার নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ যাত্রায় ৪২টি কনটেইনার খালি হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কনটেইনার খালি করার কাজে পরিবহন, ক্রেন, লেবারসহ আনুষঙ্গিক খরচ সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট বহন করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।