ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগর ছাত্রলীগ

বৃহস্পতিবার থেকে অধ্যক্ষ অপসারণ আন্দোলনের ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
বৃহস্পতিবার থেকে অধ্যক্ষ অপসারণ আন্দোলনের ঘোষণা ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেওয়া আট দফা দাবি বৃহস্পতিবারের (১৪ জানুয়ারি) মধ্যে মেনে না নিলে চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

সোমবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।

দুই কলেজ শাখা ছাত্রলীগ তাদের ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতা শেখ সফিউল আজম, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপু, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মনসুর, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতিয়ার সাঈদ ইমাম, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব প্রমুখ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ত্রিশ বছর ধরে ‍উগ্র মৌলবাদী শক্তি এ দুই কলেজে অপকর্ম করে আসছে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ছাত্রলীগ আট দফা দাবি দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তারা।

এসময় ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই কলেজের প্রশাসনকে সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যেই আট দফা দাবি মেনে নিতে হবে। না হলে ১২টার পরেই সংবাদ সম্মেলন করে দুই কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে যাব আমরা।

ছাত্রলীগের আট দফা ‍দাবির মধ্যে আছে, চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, মূল ফটক ছাড়া বাকি ১৬টি প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া, দুই কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে সব ধরনের আবাসিক স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া, শিবির ক্যাডারদের পৃষ্ঠপোষক হোস্টেল সুপার-মসজিদের ইমাম ও খতিবকে অপসারণ করা, অস্থায়ী ও খণ্ডকালীন কর্মচারীদের অপসারণ ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া, তিন দশক ধরে ছাত্র সংসদের নামে আদায় করা অর্থের হিসাব সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসের নামে মিনি ক্যান্টনমেন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া এবং নাশকতা মামলার আসামি ছাত্রদের গ্রেফতার ও ছাত্রত্ব বাতিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।