ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চীনের প্রতিনিধি দলের কর্ণফুলী টানেল এলাকা পরিদর্শন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪
চীনের প্রতিনিধি দলের কর্ণফুলী টানেল এলাকা পরিদর্শন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চীনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।   বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কর্ণফুলী নদীর উভয় পাড় পরিদর্শন করে দেখেন।

  

পরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(সিডিএ) মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তারা।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা, সিডিএ বোর্ড সদস্য মো. ইউনুস গণি চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন ও সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম।


চায়নার ২৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও পুনর্গঠন কমিশনের (এনডিআরসি) অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপ পরিচালক অধ্যাপক সান জিগং।   এছাড়া চীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দূতাবাস, চায়না উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন নির্মাণ ও উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিডিএর নগর পরিকল্পনাবিদ জহির আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নগরীর পতেঙ্গা ১৫নং জেটি এলাকা ও কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

মতবিনিময় সভায় সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ বলেন,‘প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ লেইন বিশিষ্ট টানেল নির্মাণ করা হবে। টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এবং নদীর উভয় পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে প্রায় ৬কিলোমিটার। চায়না প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনসহ সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশীদার হতে পেরে আনন্দের কথা জানিয়েছেন। ’

এর আগে গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে গেলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং চীনের পক্ষে তাদের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট চি-খো মাও স্মারকে সই করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।