চট্টগ্রাম: কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক আসামিকে দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান নগরীর বাকলিয়া থানার মধ্যম বাকলিয়া মওলানা আব্দুল গফুর রোডের আব্দুল মতিনের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জেসমিনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯ (১) ধারায় আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন।
পিপি জানান, আসামিকে অপহরণের দায়ে ৭ ধারায় একবার এবং ধর্ষণের দায়ে ৯ (১) ধারায় একবারসহ মোট দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায়ে আদালত সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চন্দনাইশ উপজেলার গুল চেমন আরা একাডেমির সামনে থেকে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী অপহরণের শিকার হন।
আবদুল্লাহ আল নোমান তার কয়েকজন সঙ্গীসহ পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে একটি হোটেলে রেখে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নোমান।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা নগরীর বাকলিয়া থানায় ১১ সেপ্টেম্বর একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নোমানকে গ্রেপ্তার করেন।
ওই মামলা তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে নোমানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫,২০১৪