ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জঙ্গিদের বাসা ভাড়া দিলে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৪
‘জঙ্গিদের বাসা ভাড়া দিলে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা’ ছবি: সোহেল সরওয়ার/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: তথ্য না নিয়ে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, অপরাধী ও মাদকসেবীদের বাসা ভাড়া দিলে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশ(সিএমপি) কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল।

মঙ্গলবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।



গত রোববার নগরীর একটি হোটেল থেকে জঙ্গি সন্দেহে পাকিস্ত‍ানি নাগরিকসহ ৫জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করে সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল বলেন,‘প্রথমবারের মতো হোটেল মালিককে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। ‘ভাড়াটিয়ার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে বাসা কিংবা হোটেল কক্ষ ভাড়া দিতে হবে।
অন্যথায় যার বাসা কিংবা হোটেল থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও অপরাধী গ্রেফতার হবে মামলায় তাকেও আসামী করা হবে। ’’

নগর পুলিশ কমিশনার বলেন,‘কারা সন্ত্রাসী, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী এসব তথ্য আপনাদের কাছে আছে। আপনার এলাকায় কেউ যদি পাকিস্তান থেকে এসে চক্রান্ত করে আমাদেরকে জানান। এখন গনতান্ত্রিক চর্চা চলছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। ’’ 
 
তিনি বলেন,‘‘জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে আমরা দূরুত্ব রাখতে চাই না। আমরা মানুষের সেবার জন্য নিয়োজিত রয়েছি। সুতরাং মানুষের কাছে জবাবদিহী করতে চাই। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মেলবন্ধন হলে তৃণমূলে যেতে পারবো। ’’

নগরীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত রাখতে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা কামনা করে আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন,‘পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সিএমপি শুরু করেছে, এরপর গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শুরু করেছেন পরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এ কার্যক্রম শুরু করেছে। চট্টগ্রামকে অনুসরণ করে ঢাকায়ও শুরু হয়েছে। আপনারা সহযোগিতা করলে অসাধ্য সাধন করে দেখাবো। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মডেল নগরীতে পরিণত হবে। ’’

তিনি বলেন,‘আপনার এলাকা পরিস্কার থাকলে ভোট বাড়বে আপনার। আপনাদের প্রচারণায় আমরা সহযোগিতা করছি। ’

এছাড়া যে ভবনের বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আবদুল জলিল মণ্ডল। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত ৮০টি মামলা করা হয়েছে বলে সভায় জানান তিনি।

তিনি বলেন,‘মুখ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস না দিয়ে হৃদয় থেকে দিন তাহলে অর্ধেক কাজ বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। নগরীকে পরিস্কার করে মানুষের মনকে ঝাড়ু দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে মানুষের মন থেকে কলুষতা দূর হয়ে যায়। জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ একত্রিত হলে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীরা পালানোর পথ পাবে না। ’ 

মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতে বাড়ির মালিকদের মধ্যে প্রচারণা চালানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত এক লাখ স্টিকার বিতরণের জন্য কাউন্সিলরদের কাছে হস্তান্তর করেন নগর পুলিশ কমিশনার।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন, হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুস সাত্তার সেলিম, রেহেনা কবির রানু, রেখা আলম চৌধুরী, এ এফ কবির আহমদ মানিক, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও নিছার উদ্দিন আহমেদ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার, প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খান, মোহাম্মদ শাহজাহান, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম, মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ আজম, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, মাহফুজুল আলম, মো. গিয়াস উদ্দিন, এ কে এম জাফরুল ইসলাম, মো. ইয়াছিন চৌধুরী, নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন, দিদারুর রহমান, হাজী নুরুল হক, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাসান মুরাদ, আরজু সাহাবুদ্দীন, আনজুমান আরা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।