ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে কুপিয়ে যুবক খুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪
চট্টগ্রামে কুপিয়ে যুবক খুন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় মো.নূরুল আলম রাজু (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।



পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, রাজু এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে রাজু একই গ্রুপের বিক্রেতাদের হাতে খুন হয়েছে।


তবে রাজু’র পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, রাজু ছাত্রলীগ কর্মী ছিল। চাঁদাবাজরা তাকে খুন করেছে।

তবে নগর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্রে জানা গেছে, নির্মম খুনের শিকার  রাজু ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ আলমের অনুসারী ছিল। পড়ালেখা না করলেও রাজু এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল। মাদক বিক্রি নিয়ে খোরশেদ আলম গ্রুপের সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাবেদুল আলম মাসুদ গ্রুপের বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরেই রাজুকে খুন করা হয়।

রাজু পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার হাজী মোল্লা কোম্পানি বাড়ির মো.ইউসুফের ছেলে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত নায়েক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, রাজুকে হামজারবাগ এলাকায় রেলগেইটের পাশে একটি বাদাম গাছের নিচে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃবত্তরা।

স্থানীয়রা এবং পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে তাকে রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাজুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে রাজু’র মৃত্যুর খবরে রাত থেকেই তার এলাকার লোকজন এবং পরিবারের সদস্যরা মর্গের সামনে ভিড় জমায়। তার ভাই মোহাম্মদ আলম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, রাজু ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করত। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদাবাজরা তাকে খুন করেছে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজু তো লেখাপড়াই করেনি। সে কিভাবে ছাত্রলীগ কর্মী হয় ?

প্রাথমিক তদন্তে রাজুকে হত্যার সঙ্গে তার একই গ্রুপের মাদক বিক্রেতা জহির এবং খোরশেদের নাম পুলিশ পেয়েছে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।