চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কুমিল্লায় আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করলো চট্টগ্রামের আবৃত্তি সংগঠন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।
কুমিল্লার ধর্মসাগর পাড়ের নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধন করেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।
ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহতাব সুমন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দীন বাহার বলেন, কুমিল্লা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চায় বাংলাদেশের প্রাচীনতম স্থান। এখানে এ উৎসব আয়োজন কুমিল্লার সাংস্কৃতিক অঙ্গণে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
তিনি বলেন, একটি অঞ্চলের আবৃত্তি সংগঠন অন্য অঞ্চলে উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে এটিই বাংলাদেশে প্রথম উল্লেখ করেন।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সভাপতি জিন্নাহ চৌধুরী কুমিল্লার সকল আবৃত্তিশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন,‘আবৃত্তি আমাদের এ জনপদের প্রাচীনতম শক্তিশালী শিল্পমাধ্যম। দেশের যেকোন ক্রান্তিকালে আবৃত্তিশিল্পীরাই কবিতার মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন।
আবৃত্তিশিল্পী ও কর্মীদের সকল অন্যায় ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে কবিতার বিশুদ্ধতা নিয়ে দাড়াঁনোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর ঢোলের তালে লাল সবুজ পতাকা ও বিভিন্ন রঙিন ফেস্টুন নিয়ে নেন। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে কুমিল্লা প্রেসক্লাব পর্যন্ত বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয় ।
এতে তারুণ্যের উচ্ছ্বসের অর্ধশতাধিক শিল্পী-কর্মীরা ছাড়াও কুমিল্লার স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী ও আবৃত্তিশিল্পী-কর্মীরা অংশ নেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার বলেন, কুমিল্লায় চট্টগ্রামের একটি আবৃত্তি সংগঠনের এমন বর্ণাঢ্য উৎসব আয়োজন আমাকে বিস্মিত করেছে।
আবৃত্তির চর্চা আরও বেগবান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জিন্নাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং শ্রাবণী দাশগুপ্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিত,কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাশহুক আলতাফ চৌধুরী এবং তারুণ্যের উচ্ছাসের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
উৎসবে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেশের বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিত, মাহিদুল ইসলাম, সিলেটের মোকাদ্দেস বাবুল ও কাসিব মুন্না, ফেনীর সমরজিৎ দাশ টুটুল, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মনির হোসেন ও বাসির দুলাল, নোয়াখালীর এমদাদ হোসেন কৈশোর, কুমিল্লার আবু নাসের মানিক,রাজন সাহা,সারওয়ার নাইম, সাব্বির আহমেদ, রোমেন রুমি ও রাকা সোহানা শারমিন।
একক পরিবেশনায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম,মিজানুর রহমান,মিঠু তলাপাত্র,শ্রাবণী দাশগুপ্তা,সাইদুর রহমান,রুবেল চৌধুরী, রাতুল হাসান,সেঁজুতি দে,সঙ্গীতা দেবী,সুমিতা দেবী,বৈশাখী নাথ,স্বপ্নীল বড়ুয়া, আলাউদ্দীন মজুমদার এবং শিউলী চৌধুরী।
উৎসবে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ছাড়াও বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার, কন্ঠসাধন আবৃত্তি পর্ষদ এবং শাণিত উচ্চারণ বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ।
বাংলাদেশ সময়:২১৫২ঘন্টা,নভেম্বর ২১,২০১৪