চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের খ্যাতনামা দু’টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চার অংশীদার মিলে অপর এক অংশীদারের ৫০ কোটি টাকার শেয়ার জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ অভিযোগে আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলা তদন্ত শেষে গত ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিল করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মোরশেদ আলম।
শিল্প প্রতিষ্ঠান দু’টি হচ্ছে চিটাগং সোপ লিমিটেড এবং নূর আলী এন্ড সন্স। অভিযুক্ত চারজন হলেন, প্রতিষ্ঠান দু’টির অংশীদার নাজির আহমদ, রফিক আহমদ, মোহাম্মদ উল্লাহ এবং আমানউল্লাহ।
চট্টগ্রাম আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে চার আসামীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত এ বিষয়ে এখনও কোন আদেশ দেননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান দু’টির মালিক চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী প্রয়াত নূর আলী সওদাগর। অভিযুক্ত চারজন তার ভাই আব্দুল জব্বারের ছেলে।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর নূর আলী সওদাগরের মেয়ের ঘরের নাতি মো.ইলিয়াছ বাদি হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৬ ও ১০৯ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি মোট ১২ জনকে অভিযুক্ত করেন।
মামলার আরজিতে তিনি অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে ২০০৬ থেকে ২০০৯ অর্থবছরে দু’টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার তার মায়ের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার নিজেদের নামে স্থানান্তর করেন। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বাদি ও তার মায়ের অনুপস্থিতিতে তা অনুমোদনও করিয়ে নেয়া হয়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন উপ পরিচালককে দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে দাখিল করা প্রতিবেদনে ১২ অভিযুক্তের মধ্যে চারজনের বিষয়ে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৪