ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্নীতি মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তার জামিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪
দুর্নীতি মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তার জামিন

চট্টগ্রাম: দুর্নীতির মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু কাউসার ফজলুল করিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন।

রোববার তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে হাজির হন।

এসময় তিনি জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি ৮ বছর পর সচল হয়েছে।
তিনি আগেও হাইকোর্টের জামিনে ছিলেন। মামলাটি সচল হওয়ার পর তিনি আজ (রোববার) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের সাবেক জিওসি এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সাবেক এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির দায়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু কাউসার ফজলুল করিম চট্টগ্রাম সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার থাকাকালে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার দু’শ মেট্রিকটন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কোন কাজ না করে ওই গম সরকারি দামের চেয়ে অনেক কম দরে কেজিপ্রতি মাত্র ৬ টাকা ৮৩ পয়সায় বিক্রি করা হয়| খাতুনগঞ্জের ইলিয়াছ মার্কেটের শামীম এন্টারপ্রাইজের মালিক নূরুল ইসলাম ওই গম কিনে নেন।

পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৪ সালের ২৪ মার্চ বায়েজিদ বোস্তামি থানায় আবু কায়সার ফজলুল করিম এবং নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। দন্ডবিধির ৪০৯, ৪০৬, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম।

ওই মামলা তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০০৬ সালের ১ মার্চ একটি রিট পিটিশনমূলে (১০০৮/২০০৬) হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। আট বছর পর ২০১৪ সালের ১৮ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী দবিরুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ বেঞ্চ রিট নিষ্পত্তি করে মামলার বিচার চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে হাইকোর্টের আদেশের কপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুদকে পাঠানোর পর আদালতে গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি সচল হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।