ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফের নগরবাসীকে জিম্মি করতে চায় সিএনজি চালকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪
ফের নগরবাসীকে জিম্মি করতে চায় সিএনজি চালকরা ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বন্দর নগরীর বাসিন্দাদের ফের জিম্মি করতে চায় সিএনজি চালিত অটো রিকশা চালকরা। নগরীতে ব্যাটারি রিকশা বন্ধে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তারা।



উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের রায়ের পর চট্টগ্রামে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করে প্যাডেল ও সিএনজি  চালিত অটো রিকশা চালকরা।
ফলে জিম্মি হয়ে পড়ে নগরবাসী।

সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীদতে ব্যটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে ২১ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে প্যাডেল রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক-মালিকদের চারটি সংগঠন।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সমাবেশে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ঈদের পর ২১ অক্টোবর লালদীঘিতে মহাসমাবেশ হবে। সেদিন নগরীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

“এরমধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে মহাসমাবেশ থেকে ধর্মঘট-অবরোধ-হরতাল দিয়ে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, তখন অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। ”

মহাসমাবেশ সফল করতে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর নগরীর থানাগুলোতে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন হারুনুর রশিদ।

মহাসমাবেশ আহ্বানকারী চার সংগঠন হলো চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম মহানগর রিকশা মালিক পরিষদ, চট্টগ্রাম সিএনজি বেবিট্যাক্সি মালিক কল্যাণ সমিতি ও চট্টগ্রাম মহানগরী রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ।

চার সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ওজিউল্লাহ বলেন, ৩ জুলাই আদালতের রায়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হয়। এ নিয়ে ব্যাটারি রিকশার চালক-মালিকরা চেম্বার জজের কাছে আবেদন করলে তিনি তা নাকচ করে দেন। এরপর ৩১ অগাস্ট থেকে পুলিশ প্রশাসন চট্টগ্রামে ব্যাটারি রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ১৯ দিনের মাথায় আবার ব্যাটারি রিকশা চালু হয়। ”

সমাবেশে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আদালত, চট্টগ্রামের মেয়র, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ ব্যাটারি রিকশাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এরপর এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না।

“চালক ভাইদের বলছি, অাপনারা ব্যটারি খুলে প্যাডেলে চালান। আপনাদের সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। ব্যটারি রিকশা বন্ধ না হলে ‍আমরা হরতাল দিতে বাধ্য হব। ”

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া।

এরআগে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর পুরাতন রেল স্টেশনে চার সংগঠনের হাজার খানেক সদস্য জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল করে প্রেস ক্লাবে আসেন তারা।

মিছিল ও প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কের এক পাশ বন্ধ করে প্রায় আধ ঘণ্টা সমাবেশ করায় নগরীর জামালখান, চেরাগী পাহাড় মোড়, বৌদ্ধ মন্দির, জুবিলী রোড, তিন পোল, নিউমার্কেট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।