চট্টগ্রাম : প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড.অনুপম সেন বলেছেন,আচার্য ড. বেণীমাধব বড়ুয়া ছিলেন উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ ভারততত্ত্ববিদ। ব্রাহ্মীলিপি-খরোষ্টীলিপিতত্ত্বের ওপর অধ্যয়ন ও গবেষণায় তাঁর অবদান অপরিসীম।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশিয়ার প্রথম ডি.লিট. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক, চট্টগ্রামের সন্তান ড. বেণীমাধব বড়ুয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত ‘ভারততত্ত্ববিদ আচার্য ড. বেণীমাধব বড়ুয়া স্মারকগ্রন্থ’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,অসাধারণ পান্ডিত্যের অধিকারী ড. বেণীমাধব বড়ুয়ার স্মারকগ্রন্থ দেরীতে প্রকাশিত হলেও এপার-ওপার বাংলার গবেষকদের ঔৎসুক্য চরিতার্থ করার জন্য এটি সহায়ক হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়া সম্পাদিত ও অনিরুদ্ধ বড়–য়া অনি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন রূপম কিশোর বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘জগজ্জ্যোতি’ ও ‘বোধিভারতী’ সম্পাদক কবি হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের উপদেষ্টা সম্পাদক কবি-কলামিস্ট আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. এন এইচ এম আবু বকর, অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উপদেষ্টা সাহিত্যিক অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ রউফ বক্তব্য রাখেন।
কবি হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী বলেন, ভারতীয় দর্শনের আদিযুগের ইতিবৃত্ত রচনার দিক থেকে ড. বেণীমাধব বড়ুয়াকে পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা যায়। তাঁর পূর্বে কোন ভারতীয় পণ্ডিতের পক্ষে এ জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভব হয়নি।
আবুল মোমেন বলেন, ইতিহাস সংস্কৃতির চর্চা না থাকলে বেণীমাধবের দর্শনচর্চা সম্ভব নয়। তাঁকে স্মরণ করা কিংবা তাঁর মাহাত্ম্য প্রচার করার দায়িত্ব এককভাবে বৌদ্ধদের, রাষ্ট্রের বা সমাজের কোন দায়-দায়িত্ব নেই। সে দায়িত্ববোধ করেন না এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের শিক্ষিত বিবেকবান মানুষেরাও। আশা করি সে দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাংলা একাডেমী ড. বেণীমাধব বড়ুয়ার রচনাবলী প্রকাশে এগিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময় : ১১৪০ ঘন্টা,আগস্ট ২৯,২০১৪।