চট্টগ্রাম: চাঞ্চল্যকর হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় মাদকবিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’র সাধারণ সম্পাদক জাওয়ীদ আলী চৌধুরীর জেরা অব্যাহত আছে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক আহমেদের আদালতে এ জেরা কার্যক্রম চলছে।
বুধবার জাওয়ীদ আলী চৌধুরী আসামী শাহ সেলিম টিপুর আইনজীবী জেরা শেষ করেন। এরপর আসামী শাহাদাৎ হোসেনের আইনজীবী আংশিক জেরা করেন।
এর আগে জাওয়ীদ আলী চৌধুরী আগের বিচারিক আদালত চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ সহীদুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওই আদালতে তার অাংশিক জেরাও সম্পন্ন হয়। এরপর গত ১৫ জুলাই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মো.আইয়ূব খান বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাইব্যুনালে জাওয়ীদ আলী চৌধুরীর জেরা অব্যাহত আছে। ১ সেপ্টেম্বর আবারও জেরা হবে।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ফরহাদ ম্যানশন নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেন অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।
গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া মাদকবিরোধী সংগঠন শিকড়’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন হিমু।
এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু এবং মাহবুব আলী ড্যানি।
২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪