ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

হিমু হত্যা মামলার বিচারে বাধা নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪
হিমু হত্যা মামলার বিচারে বাধা নেই

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলার উপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এর ফলে মামলার বিচার চলতে আর কোন বাধা থাকলনা।



মামলার আসামী শাহাদাৎ হোসেন সাজুর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও জাফর আহমদের বেঞ্চ বিচারকাজ ছয় মাস স্থগিত রাখার আদেশ দেন। ৪ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশ চট্টগ্রামের বিচারিক আদালতে এসে পৌঁছে।


এরপর ৭ আগস্ট বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহার সংক্রান্ত আদেশটি সোমবার বিচারক আদালত চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শহীদুল ইসলামের আদালতে এসে পৌঁছেছে।

চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, শুরুতে মামলাটির বিচারিক আদালত চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থাকলেও গত ১৫ জুলাই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়েছে। আসামীপক্ষ হাইকোর্টের আবেদনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কথা উল্লেখ না করায় স্থগিতাদেশ ও প্রত্যাহার সংক্রান্ত আদেশ আমার কাছে এসেছে।

তিনি বলেন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পুনরায় শুরুতে আর কোন বাধা নেই। আমি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দাখিল করব। ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করবেন।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২৭ জুলাই থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত থাকলেও হাইকোর্টের আদেশের পর তা স্থগিত করা হয়েছিল।

২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ফরহাদ ম্যানশন নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেন অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া মাদকবিরোধী সংগঠন শিকড়’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন হিমু।

এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু এবং মাহবুব আলী ড্যানি।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ সাক্ষী মাদক বিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’র সাধারণ সম্পাদক জাওয়ীদ আলী চৌধুরীর সাক্ষ্য শেষে জেরা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।