চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা ও তান্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত ই ইলাহী ভুজপুর তান্ডবে নিহত মো.রুবেল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গত ১২ জুন রুবেল হত্যা মামলার বাদি জামাল পাশা আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। এ আবেদনের উপর গত ৬ আগস্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, রুবেল হত্যা মামলায় বাদির নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিআইডির মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্তের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দিলেও দ্রুত অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ১৮ দলের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় শান্তি মিছিল বের করেন নবম সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি নিয়ে বের করা মিছিল কাজিরহাটে গিয়ে সহিংসতার শিকার হয়। হামলাকারীদের তাণ্ডবে প্রাণ হারান তিনজন এবং কমপক্ষে দু’শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পুড়িয়ে দেয়া হয় দু’শতাধিক গাড়ি।
এ ঘটনায় ভুজপুর থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলায় গত ১০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
তিনটি মামলার অভিযোগপত্রে মোট ৬২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে মো. রুবেল হত্যা মামলায় ২১৯ জন, ফারুক ইকবাল হত্যা মামলায় ২০৭ জন এবং ফোরকান মিয়া হত্যা মামলায় ১৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলাতেই ভুজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নূরীকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
এছাড়া ভুজপুর থানার এস আই মুজিবর রহমান বাদি হয়ে হত্যা, গুরুতর জখম, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা একটি এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী পোড়ানোর দায়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সমীর দাশগুপ্ত বাদি হয়ে দায়ের করা একটি মামলা এখনও তদন্তাধীন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪