ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইবোলা প্রতিরোধ

পরীক্ষার পরই ইমিগ্রেশন পার হচ্ছেন বিমান যাত্রীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪
পরীক্ষার পরই ইমিগ্রেশন পার হচ্ছেন বিমান যাত্রীরা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিমান যাত্রীদের পরীক্ষা ছাড়া ইমিগ্রেশন পার হতে দেয়া হচ্ছেনা।



পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরের চিকিৎসক ডা.মোহাম্মদ শরীফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত আছে। এছাড়া আনুষাঙ্গিক মেডিকেল সরঞ্জাম ও একটি অ্যাম্বুলেন্সও বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইবোলা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা ফৌজদারহাট ডায়রিয়া হাসপাতালে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর ই আলম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারী নির্দেশ আসার পর আমরা দু’দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আজ (মঙ্গলবার) থেকে সন্দেহভাজন যাত্রীদের সর্বাত্মকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ইমিগ্রেশন) মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে সাধারণত ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যাত্রীরা আসেন। আফ্রিকার কোন দেশ থেকে তেমন যাত্রী আসেন না। এ কারণে এখানে ইবোলার ঝুঁকি কিছুটা কম। এরপরও আমাদের প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি নেই। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইবোলা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলোর একটি, যাতে ৯০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। রোগটি সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির থুথু, ঘাম, মলমূত্র এমনকি বীর্য থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের কার্যকর চিকিৎসা কিংবা টিকা এখনও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইবোলা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় শুক্রবার আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করে সংস্থাটি।

এরপর রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে আফ্রিকা থেকে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করার নির্দেশ জারি করে। সোমবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে মাস্ক, গ্লাভসসহ বিভিন্ন মেডিকেল সরঞ্জাম এসে পৌঁছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কোলকাতা থেকে আসা একটি বিমানের প্রায় আড়াই’শ যাত্রীকে পরীক্ষার পর বিমানবন্দর অতিক্রম করতে দেয়া হয়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুবাই থেকে আসে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট। বিমানটির প্রায় তিন’শ যাত্রীকেও পরীক্ষার পর বিমানবন্দর অতিক্রম করতে দেয়া হয়।

শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর ই আলম বাংলানিউজকে বলেন, আফ্রিকা থেকে সরাসরি কোন ফ্লাইট চট্টগ্রামে আসেনা। এরপরও যতদিন পর্যন্ত ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা না আসবে ততদিন পর্যন্ত আমরা এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।