চট্টগ্রাম: বেলা এগারোটা। হলরুমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আলোচনার সূত্র ধরে আসে পূর্ব বাংলায় খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে কারাগারে অনশন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি, ছয় দফা, গণঅভূত্থান, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, মহানায়কের করুণ বিদায়সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ।
সোমবার সকালে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা বিদ্যালয় হলরুমের চিত্র এটি। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের দীক্ষা নিতে হলরুমে জড়ো হয়েছিল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও স্মৃতিচারণ শোনানোর জন্য নেয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের পাঠ ছাড়া কোন পাঠই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না। নিজেদের অস্তিত্বের ইতিহাস জানতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই বঙ্গবন্ধুর জীবনের পাঠ নেয়া উচিত। মানবিক গুণাবলীর বিকাশের জন্য সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে দীক্ষা নিতে হবে।
শোকের মাস আগস্টে প্রতি শিক্ষার্থীকে নূন্যতম একটি করে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে লেখা বই পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড জেলা সংসদের দপ্তর কমান্ডার এ কে এম আলাউদ্দিন বলেন, পূর্বপুরুষকে না জানলে উন্নত, বিকাশমান জাতিতে পরিণত হতে পারা যায় না। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে জানতে হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার বলেন, দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, মৌলবাদ, কুপমণ্ডকতা দূর করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে।
স্কুলের অধ্যক্ষ হাসমত জাহানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার সরোয়ার কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৪