ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধর্মঘটের মধ্যে খুলেছে পোশাক কারখানা, কাজ চলছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৪
ধর্মঘটের মধ্যে খুলেছে পোশাক কারখানা, কাজ চলছে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোতে পড়েনি। ধর্মঘটের মধ্যেও বন্দরনগরীর প্রায় সব পোশাক কারখানাগুলো খোলা আছে।

হাজার হাজার শ্রমিক সকালে কাজে যোগ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি ইপিজেড এবং শিল্পাঞ্চলগুলোতে এ পর্যন্ত শ্রমিক অসন্তোষ কিংবা কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে নৈরাজ্য ঠেকাতে নগরজুড়ে শিল্প পুলিশ, এপিবিএন ও নগর পুলিশের প্রায় এক হাজার সদস্য মোতায়েন আছে।

চট্টগ্রামের শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুরো শহরকে ১০টি জোনে ভাগ করে শিল্প পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যেসব এলাকায় নৈরাজ্যের সম্ভাবনা আছে সেসব এলাকায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। এপিবিএন এবং নগর পুলিশ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি বাংলানিউজকে বলেন, স্বত:স্ফূর্ততার সঙ্গে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। আমরা কোন ধরনের নৈরাজ্য কিংবা বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাসী নই।

ধর্মঘটের সমর্থনে বিকেল সাড়ে ৪টায় বায়েজিদ বোস্তামি থানার টেক্সটাইল গেইট এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে বলে রুমি জানান।

ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে নগরীর যেসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, কালুরঘাট শিল্প এলাকা, বায়েজিদ শিল্প এলাকা, মুরাদপুর-পাঁচলাইশ, সিইপিজেড, কেইপিজেড, কোরিয়ান ইপিজেড, অলংকার মোড়, পাহাড়তলী শিল্প এলাকা, দেওয়ানহাট শিল্প এলাকা এবং আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা।

সূত্র জানায়, শিল্প পুলিশ ৫০০ সদস্য, এপিবিএন’র ১০০ সদস্য এবং নগর পুলিশের চার’শ সদস্য ধর্মঘট উপলক্ষে নগরীতে মোতায়েন আছে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে বিজিএমইএ’র প্রায় সাড়ে ৫’শ পোশাক কারখানা এবং বিকেএমইএ’র শতাধিক পোশাক কারখানায় কাজ চলছে। সকাল ৮টায় যথারীতি শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সচিব মো.মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কোন ধর্মঘট নেই। আমাদের সব প্রতিষ্ঠান খোলা আছে এবং কাজ চলছে।

এছাড়া তিনটি ইপিজেডের কারখানাগুলোতেও সকালে হাজার হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে ধর্মঘটের সমর্থন পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ করেছে।

গত ৫ অ‍াগস্ট রাজধানীতে বাড্ডার হোসেন মার্কেটে তোবার কারখানায় অনশনরত তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু শনিবার সারাদেশের শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ঈদের আগের দিন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ অনশনের পর তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানার শ্রমিকদের আংশিক বকেয়া পরিশোধের ঘোষণা দেয় গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ’র বেতন প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের একটি অংশ কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে বৃহস্পতিবার তোবার কারখানা ভবনে ঢুকে অনশনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় মোশরেফা মিশু ও জলি তালুকদারসহ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করলেও ওইদিন রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।