চট্টগ্রাম: সিডিএ এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেডের নামে বরাদ্দ দোকান সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের অনুসারী শ্রমিক নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সিডিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, সিডিএ এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ মাল্টি পারপাস সোসাইটি লিমিটেডের নামে চারটি দোকান বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
নিয়মানুযায়ী সোসাইটির কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের পর দোকানগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার কথা। কিন্তু কোন ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের অনুসারী কয়েকজন শ্রমিক নেতা এসব দোকান নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
কর্ণফুলী মার্কেটের দুটি দোকান নিয়েছেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান ও সদস্য মঈনুল ইসলাম খান টনি এবং সিডিএ ক্যান্টিন সংলগ্ন দুটি দোকান বরাদ্দ নেন ভারপ্রাপ্ত উপ সহকারি প্রকৌশলী দীপক বড়ুয়া ও সাইফুল ইসলাম।
এদের মধ্যে মঈনুল ইসলাম খান টনিসহ পাঁচ শ্রমিক নেতাকে গোপনে প্লট বরাদ্দ দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
সিডিএ এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কো-অপারেটিভ মাল্টিপারপাস সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কোনো ধরণের টেন্ডার আহবান ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ছাড়া সোসাইটির চারটি দোকান সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতার নামে বরাদ্দ নিয়ে নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। এগুলো সিডিএ’র কয়েক’শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদ। এভাবে নিজেদের নামে কুক্ষিগত করার কোন সুযোগ নেই।
চউক কর্মচারী লীগের প্রচার সম্পাদক নঈম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চেয়ারম্যান দেশে না থাকায় বিষয়টি তাকে জানানো যায়নি। রোববার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি চেয়ারম্যানকে দেওয়া হবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সিডিএ এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমদ খান বাংলানিউজকে বলেন,‘সোসাইটির নামে বরাদ্দ দোকান টেন্ডার আহবান করে বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই সোসাইটির লাভের স্বার্থে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অস্থায়ীভাবে চারজনকে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ’
চারজন কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র দেখে বলতে হবে। এখন মনে নেই। ’
সিডিএ এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেডের অর্থ সম্পাদক মো. হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন,‘দোকানগুলো এখনো প্রস্তুত হয়নি। প্রস্তুত হওয়ার পর টেন্ডার আহবান করে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় কাউকে ভাড়া দেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ’
সিডিএ এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ মাল্টি পারপাস সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি ফরিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোন বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়নি। এ বিষয়ে কয়েকজন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ’
তবে তিনি বলেন,‘সংগঠনের সবকিছু দেখাশোনা করেন সাধারণ সম্পাদক। আপনি এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা যদি এ ধরণের কিছু করে থাকেন তাহলে সিডিএ’র কয়েক’শ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৪