ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে চবি প্রশাসন

চবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৪
আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে চবি প্রশাসন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা ভাংচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্দোলনকারীদের কাছে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহষ্পতিবার কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারি সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সময় প্রার্থনা করে।



বৈঠকে এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার তদন্তে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ডিনস কমিটির আহবায়ক ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. ইমরান হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী, প্রক্টর সিরাজ উদ দৌলাহ, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি  এ কে এম মাহফুজুল হক খোকন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি  মো. সৈয়দ হোসেন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি  মো. ছরওয়ার জামান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি একেএম মাহফুজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। আমরা সংগঠনের জরুরী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে শনিবার থেকে ডাকা কর্মবিরতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখায় ভাংচুরের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় দু’টি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।   বৃহষ্পতিবার ভাংচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মো. মামুন, উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও অজ্ঞাত আরো একজনকে দায়ী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ভূমি) জাকের আহমদ।

অন্যদিকে, জাকের আহমেদসহ তিনজনকে দায়ী করে অপর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন।   অভিযোগে জাকের আহমেদের নির্দেশে নাজিমের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, জহির নামে এক শিবির ক্যাডারের বাবার চাকুরি শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে রাখার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়। জাকের আহমেদও জামায়াত-শিবিরের মদদদাতা।

প্রসঙ্গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ভূমি) জাকের আহমদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জের ধরে এস্টেট শাখায় ভাংচুর চালায় মামুন ও নাজিম। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহষ্পতিবার সকালে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন।   কর্মবিরতি চলাকালে এক সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় ‍তারা।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫০ ঘন্টা, আগস্ট ৭,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।