চট্টগ্রাম: বহুল আলোচিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ দুর্নীতির তিনটি মামলার বিচার একইসাথে চালানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার আসামীপক্ষের আইনজীবীরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানকে হাইকোর্টের এ আদেশের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ইউসুফ আলী মৃধাসহ আসামীদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা বিচারের পর্যায়ে আছে।
মৃধার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন লাবলু বাংলানিউজকে বলেন, আসামী গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে পাঁচটি মামলার বিচার একসঙ্গে চালানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আদলত তিনটির বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ধার্য তারিখে আমরা হাইকোর্টের আদেশের কপি আদালতে দাখিল করা হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টুল কিপার, টিকিট ইস্যুয়ার এবং সহকারী লোকোমাস্টার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার বিচার একসঙ্গে চালানোর জন্য হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন বলে আসামীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন। এর আগে একই ধরনের আবেদন আসামীপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতেও করেছিল। আদালত সেটা নাকচ করেন। এরপর তারা হাইকোর্টে যান।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ছয়টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর মধ্যে টুল কিপার, টিকিট ইস্যুয়ার এবং সহকারী লোকোমাষ্টার পদে নিয়োগে অনিয়মের মামলায় ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর তিনটি পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৭ জুন তিনটি মামলায় ইউসুফ আলী মৃধাসহ আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আজ (বুধবার) প্রথম দফা সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন মৃধাসহ তিনজন। মন্ত্রীত্ব যায় সুরঞ্জিতের। এরপর দুদক তদন্তে নেমে একের পর এক মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৪