চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।
বুধবার এ মামলায় বাদি খুলশী থানার এস আই মো.নেওয়াজের অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, আগের তারিখেও সাক্ষী হাজির ছিলেন না।
তবে অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বাদির সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। এরপর আসামীপক্ষের আইনজীবী আবারও জেরা করার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছেন। এতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
এদিকে বুধবার আসামীদের জামিনের আবেদন জানান তাদের আইনজীবী। শুনানির পর আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন বলে অতিরিক্ত পিপি জানিয়েছেন।
গত ২৮ এপ্রিল থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে মুফতি ইজাহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজাহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি ইজাহারুল ইসলাম ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন। মুফতি ইজাহার বর্তমানে পলাতক আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৪