ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিদ্ধান্ত নিতেই ঈদ পার, মুক্ত হচ্ছেন দু’বন্দি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৪
সিদ্ধান্ত নিতেই ঈদ পার, মুক্ত হচ্ছেন দু’বন্দি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার

চট্টগ্রাম: ঈদের আটদিন পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুই বন্দিকে মুক্তি দেয়ার আদেশ পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে দুই বন্দিকে মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্যাক্সবার্তা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের আগে ৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। সুপারিশের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসবে ভেবে ঈদের আগে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে শেষ পর্যন্ত ঈদের আগের দিন পর্যন্ত মুক্তির বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি।

অবশেষে এ আদেশ এসেছে ঈদের আটদিন পর। আদেশ পাবার পর কারা কর্তৃপক্ষ এখন দুই বন্দিকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। রাতের মধ্যেই তারা মুক্তি পাবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারায় বিশেষ বিবেচনায় বন্দিদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে এমন কোন আইন নেই। ঈদের পরও মুক্তি দেয়া যায়।

যাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে তাদের একজন হচ্ছেন কয়েদি মো.নূরুচ্ছফা প্রকাশ হাশেম (৫৫)। কয়েদি নম্বর-৪৯২/এ। তার পিতার নাম হাজী মো.সেকান্দর ভূঁইয়া।

নূরুচ্ছফা সীতাকুণ্ড থানায় মারামারির ঘটনায় ২০০৩ সালে দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় দায়ের হওয়া একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ১২ (০৮) ০৩ নম্বরের (জি আর-২০৫/০৩) ওই মামলায় আদালত তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।

২০১২ সালের ৩ মে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে যান। তিনি মোট হাজতবাস করেন ২ বছর ১ মাস ২দিন। তার মোট সাজা খাটার সময় ৪ বছর ৮ মাস ১৮দিন।

সাজার মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার আমিরুল ইসলাম।

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অপর কয়েদি হচ্ছেন মো.সরওয়ার আলম (৬০)। তার কয়েদি নম্বর ৯০৮৪/এ। সরওয়ার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় ২০০৬ সালে নগরীর পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া একটি ‍মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

১১ (১২) ০৬ নম্বরের (জি আর-৫২৮/০৪) ওই মামলায় আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদন্ড দেন। ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর সরওয়ার কারাগারে যান। তার সাজা খাটার মেয়াদ হচ্ছে ৩ বছর ৩ মাস ১৯দিন।

সরওয়ার গুরুতর অসুস্থ এবং শারিরীকভাবে অক্ষম হওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার আমিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।