ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভুজপুর তান্ডব মামলা

বাদীর নারাজি আবেদনের আদেশ ১৩ আগস্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৪
বাদীর নারাজি আবেদনের আদেশ ১৩ আগস্ট ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা ও তান্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে বাদীর দাখিল করা নারাজি আবেদনের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত আগামী ১৩ আগস্ট নারাজি আবেদনের উপর আদেশের দিন ধার্য করেছেন।



বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত ই ইলাহীর আদালতে রুবেল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের নারাজি আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে অংশ নিয়ে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বলেন, ঘটনার সময় যারা আহত হয়েছেন, যারা ভিকটিম তাদের অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়নি।
অনেক নিরাপরাধ লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকেও আসামী করা হয়েছে।

পিপি বলেন, বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলাম মিলে মিছিলে তাণ্ডব চালিয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান যারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ আছে তাদের আসামী করা হয়নি। বাদি এবং পিপিকে অন্ধকারে রেখে গোপনে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, নারাজি আবেদনের উপর আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। আদালত ১৩ আগস্ট আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ১৮ দলের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় শান্তি মিছিল বের করেন নবম সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি নিয়ে বের করা মিছিল কাজিরহাটে গিয়ে সহিংসতার শিকার হয়। হামলাকারীদের তাণ্ডবে প্রাণ হারান তিনজন এবং কমপক্ষে দু’শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পুড়িয়ে দেয়া হয় দু’শতাধিক গাড়ি।

এ ঘটনায় ভুজপুর থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলায় গত ১০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

তিনটি মামলার অভিযোগপত্রে মোট ৬২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে মো. রুবেল হত্যা মামলায় ২১৯ জন, ফারুক ইকবাল হত্যা মামলায় ২০৭ জন এবং ফোরকান মিয়া হত্যা মামলায় ১৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলাতেই ভুজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নূরীকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।

এর মধ্যে রুবেল হত্যা মামলার বাদি জামাল পাশা ১২ জুন আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। এ আবেদনের উপর বুধবার শুনানির অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া ভুজপুর থানার এস আই মুজিবর রহমান বাদি হয়ে হত্যা, গুরুতর জখম, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা একটি এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী পোড়ানোর দায়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সমীর দাশগুপ্ত বাদি হয়ে দায়ের করা একটি মামলা এখনও তদন্তাধীন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।