ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের দু’হাজার পরিবারে আজ ঈদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪
চট্টগ্রামের দু’হাজার পরিবারে আজ ঈদ

চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার কমপক্ষে ৩০ গ্রামে আজ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। এছাড়া সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ও বাড়বকুন্ডের কমপক্ষে পাঁচটি গ্রামের মানুষও আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।



এক মাস সিয়াম সাধনার পর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশে প্রচলিত নিয়মের আগেই এসব গ্রামের প্রায় দু’হাজার পরিবারের মানুষ ঈদ পালন করছেন। একইভাবে প্রচলিত নিয়মের আগে ২৯ জুন থেকে তারা রোজা পালনও শুরু করেছিলেন।


প্রচলিত নিয়মের আগে রোজা ও ঈদ পালনকারীরা সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফ, সিলসিলিয়া আলীয়া জাহাগীর পীর ও চন্দনাইশ উপজেলার শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।  

শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিসে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছে, রোববার সৌদিআরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় তারা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে রোজা পালন শুরু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, ঘাসিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পূঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।

সোমবার সকালে এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে রীতি অনুযায়ী পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গণ করেন। এসব গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মহামিলনের আনন্দ।

প্রসঙ্গত প্রায় দু’শ বছর আগে মুখলেছুর রহমান নামে একজন গদানশীন পীর পৃথিবীর যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং  কোরবানি পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে এ নিয়ম পালন করছেন তার অনুসারীরা।

তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মীর্জারখীল দরবার শরীফ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হেলালুল হাইয়ের মতে, ইমাম জাফর সাদের চন্দ্র হিসাব অনুযায়ী তারা রোজা পালন করেন।   বিশ্বের সকল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একইসঙ্গে রোজা রাখা উচিৎ।

পূর্ব-পুরুষদের প্রথা অনুযায়ীই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন আসছেন বলেও মত দেন হেলালুল হাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad