ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০ মার্কেটে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন দিলো এফবিসিসিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪
২০ মার্কেটে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন দিলো এফবিসিসিআই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ২০টি বিপনী বিতানে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন বিতরণ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বুধবার নগরীর হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপনী বিতান কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে এসব মেশিন হস্তান্তর করা হয়।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, পুরো দেশের জন্যই জাল নোট একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।   এসব স্বল্প সংখ্যক মেশিন দিয়ে জাল নোটের প্রচলন বন্ধ করা পুরোপুরি সম্ভব নয়।
  তবে এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা যে সচেতন রয়েছেন সে বার্তাটি অপরাধীদের কাছে পৌঁছে যাবে।   এতে জাল নোটের ব্যবহার অনেকটাই কমে আসবে।

অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম শাখার নির্বাহী পরিচালক মাসুম কামাল ভূইয়া বলেন, জাল নোটের  কারণে দেশের অর্থনীতিতে অধিক তারল্যের সৃষ্ঠি হয়। এতে প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্বল্প আয়ের লোকজন।   সুতারাং, এটা শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমস্যা না, সকলের সমস্যা।

তিনি বলেন, জাল নোটের প্রচলন বন্ধ করার জন্য সম্মিলিত প্রতিরোধ ও সচেতনতার প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক আসল নোটের বৈশিষ্ট্য এবং জাল নোট চেনার উপায়গুলো নিয়মিত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, পোস্টারের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করে আসছে।   ব্যবসায়ীদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করে। তাই জাল নোট নিয়ে তাদের সমস্যায় পড়তে হয় না, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই সবেচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পরিচালক এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি কামরুন নাহার মালেক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের তিনটি মার্কেটকে তিনটি এবং আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, টেরি বাজার, খুলশী ওয়ালমার্ট, চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স, বিপনী বিতান, লাকী প্লাজা, জহুর হকার্স, মিটি সুপার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, হোটেল আগ্রাবাদ, কল্লোল সুপার মার্কেট এবং আমিন সেন্টারকে একটি করে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন বিতরণ করা হয়।   বাকি পাঁচটি মেশিন নির্ধারিত বিপনী বিতানগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক এফবিসিসিআইকে ১৩০টি জাল নোট সনাক্তকারি মেশিন দেয়।   চট্টগ্রামে বিতরণের আগে গত সোমবার রাজধানীর প্রধান বিপণীবিতানগুলোতে ৪০টি মেশিন বিতরণ করা হয়েছিল।   বাকি ৭০টি মেশিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।