চট্টগ্রাম: ঈদের আগেই সন্দ্বীপের নৌ-রুটে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছে ‘আমরা সন্দ্বীপবাসী’।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমন্বয়কারী ডা. রফিকুল মাওলা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সঙ্গে দেশের মূলখন্ডের যাতায়াত সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে বারবার অবহিত করা হলেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, যাত্রীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কুমিরা-গুপ্তছড়া ফেরীঘাটে বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার সার্ভিস চালু হয়েছে। কিন্তু এরপরও অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণ নৌযানে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়নি। জেলা পরিষদের ইজারাদার নানা অপকৌশলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীদেরকে স্টিমার সার্ভিসে যাতায়তে নিরুৎসাহিত করছে।
যাতায়াত সমস্যাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর মুনাফালোভী যাত্রীদের হয়রানী করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রীর বিশেষ হস্তক্ষেপে স্টিমার সার্ভিসের ১৩০ টাকা ভাড়ার সঙ্গে দুই তীরে নিরাপদে উঠানামার জন্য যাত্রী প্রতি ১০ টাকা করে অতিরিক্ত ২০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ঘাটের ইজারাদার যাত্রীদের উঠানামার জন্য পর্যাপ্ত ছোট নৌকা রাখেনি। যার ফলে যাত্রীদের বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে অন্য নৌকা করে জাহাজ থেকে নামতে হয়।
তিনি বলেন, স্পিডবোটে দুইশ’ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হওয়ার পরও তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ পরিস্থিতিতে ছয়দফা দাবি পেশ করে ‘আমরা সন্দ্বীপবাসী’।
দাবিগুলো হলো- কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে অননুমোদিত ঝুকিপূর্ণ নৌযান ও মালবাহী বোটে যাত্রী পারাপার বন্ধ করা, প্রতিদিন উভয় কূল থেকে দৈনিক দুইবার করে মোট চারবার স্টিমার চলাচল, স্পিডবোটের যাত্রী প্রতি ভাড়া নৌ পরিবহনমন্ত্রী নির্দেশিত দুইশ’ টাকা করা, যাত্রীদের নিরাপদ উঠানামার ব্যবস্থা নিশ্চিত, দুই তীয় টয়লেট ও যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা এবং যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ৩০ কেজি পর্যন্ত মালামালের ভাড়া আদায় বন্ধ করা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪